হোসেনের হত্যকারীরা ঘাতকরা। উপরুন্তু নিহত মনিরের স্ত্রী ও ভাইদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নিহত সাংবাদিকের পরিবার।
পৌর সদরের আলাউদ্দীন রাঢ়ি ও তার পুত্র সোহাগ রাঢ়ি এবং রাসেল রাঢ়ি একদল সন্ত্রাসী নিয়ে ২১ ডিসেম্বর সকালে মুলাদী বন্দরের দলিল উদ্দীন মাস্টারের বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করছিল। বিকেলে দলিল উদ্দীন মাস্টারসহ ওই বাড়ির অন্যান্যরা প্রেসক্লাব সভাপতি মনির হোসেন রাঢ়ির কাছে গিয়ে বিষয়টির সুরাহা করে দেয়ার অনুরোধ জানায়। মনির ঘটনাস্থল গিয়ে রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান করতে নিষেধ করে। এ সময় আলাউদ্দিন রাঢ়ী, সোহাগ রাঢ়ী ও রাসেল রাঢ়ীসহ তাদের দলবল ক্ষিপ্ত হয়ে হাতুড়ি, শাবল, কোদাল নিয়ে মনিরের ওপর হামলা চালায়। হামলায় মনির মারাত্মক জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে পুলিশের সামনে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত মনিরকে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাৎক্ষনিকভাবে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে রাত ১২ টায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর ২৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখানো কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকার সচেতন মহল আসামি গ্রেফতারে পুলিশের বিরুদ্ধে রহস্যজনক ভূমিকার অভিযোগ করেছেন। উপরুন্তু আসামীদের স্বজনরা নিহত মনিরের পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।