বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার তদন্ত টিম কাঁঠালিয়া এসে তাদের তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে তদন্ত টিমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, বর্তমান বরিশাল ও ঝালকাঠির জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রকৌশলী শাহ আলমের কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতরে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের  প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বরিশাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয় । তিনি ইতোমধ্যে শাহ আলমের অনিয়মের দুর্নীতির তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুস, জিয়ানগরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল খালেক, ঝালকাঠির সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, পিরোজপুরের নির্বাহি প্রকৌশলী এ.এইচ.এম আবদুল্লাহ ও বরিশাল অঞ্চলের প্রধান সহকারী জাকির হোসেন। তদন্ত টিম কাঁঠালিয়ায় পৌঁছে প্রাথমিকভাবে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর তদন্ত টিম উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথেও আলোচনা করেন।

এদিকে এ টিমের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তদন্ত রিপোর্ট নিজের পক্ষে নিতে অভিযুক্ত প্রকৌশলী শাহ আলম মরিয়া হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে  অভিযুক্ত শাহ আলমের পক্ষালম্বন করছেন খোদ বরিশাল তত্ত্বাবধায়ক  প্রকৌশলী কাজী রেজাউল্লা। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অভিযুক্ত শাহ আলমকে সাথে নিয়ে কাঁঠালিয়া যান এবং তার সাথে ছিলেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক পিরোজপুর জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহি প্রকৌশলী এএইচএম আবদুল্লাহ। এরপর সেখানে কোনো প্রকার অনুসন্ধান ব্যতীত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করে ফিরে আসেন। বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অভিযুক্তের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে তদন্ত দল। কারণ তদন্ত কমিটির সকল সদস্যদের কর্তা হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তিনিই প্রকৌশলী শাহ আলমের অন্যায় অপকর্ম ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন বলে তারা জানায়। পিরোজপুর স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহি প্রকৌশলী ও তদন্ত কমিটির আহবায়ক এএইচএম আবদুল্লাহ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তিও গেছেন। অভিযুক্তকে নিয়ে গেলে তো কিছু করার নেই। তিনি তো তদন্ত কমিটির সকলেরই বস। এজন্য আমরা একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছি।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের একটি কপি আমার নিকটও রয়েছে। তদন্ত শুরুর পূর্বে আলোচনা করতে বরিশাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পিরোজপুর নির্বাহি প্রকৌশলী এসেছেন। তাদের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিও ছিল। এ প্রসঙ্গে বরিশাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী রেজাউল্লা বলেন, প্রকৌশলী শাহ আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি অভিযুক্ত শাহ আলমকে নিয়ে কাঁঠালিয়া যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার সঙ্গে অন্য একটি বিষয়ে কথা হয়েছে।

বরিশাল ও ঝালকাঠি  জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহি প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। তাকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাঁঠালিয়ায় নিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেন।