এক মাসে ৬ মাদকসেবী সন্তানের বিরুদ্ধে বাবা-মায়ের মামলা

বিচার চেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। এসব মাদকাসক্তদের গ্রেফতারের জন্য আদালত নির্দেশ দিলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। ফলে বেপরোয়া এ সন্তানরা বাবা-মার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২১ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বরিশালে ৬ সন্তানের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ ২০ জানুয়ারি বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের মাদকাসক্ত শহিদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার মা। ১১ জানুয়ারি নগরীর হাসপাতাল রোডের মাদকাসক্ত রিয়াজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা। ৬ জানুয়ারি সদর উপজেলার চরমোনাই’র রাজারচর গ্রামের মাদকাসক্ত পুত্র মিণ্টু ও মঞ্জুর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার পিতা। ২৯ ডিসেম্বর নগরীর জর্ডন রোডের মাদকাসক্ত পুত্র তানভীর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা। ২১ ডিসেম্বর নগরীর পলাশপুর এলাকার মাদকাসক্ত পুত্র সাইফুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা। ৪ মা ও ১ পিতার দায়েরকৃত ৫টি মামলার এজাহার প্রায় একই রকম। সকলেই অভিযোগে লিখেছেন, মাদকাসক্ত সন্তান টাকা না পেয়ে বাসার মালামাল চুরি করে বিক্রি ও ভাংচুর করাসহ পিতা-মাতার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে চলছে। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এসব সন্তানকে কারাগারে আটক রাখার জন্য তারা আদালতের শরণাপন্ন হন। প্রত্যেকটি মামলায় আদালত থেকে মাদকাসক্তদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করছে না। মামলার খবর পেয়ে ওই সকল বেপরোয়া সন্তানরা পিতা-মাতার ওপর অত্যাচার আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অভিভাবকরা আদালতে ছুটলেও পুলিশের সহায়তা না পাওয়ায় তারা নির্যাতন সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছেন। মাদকাসক্তদের গ্রেফতার না করার ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার অফিসরা ইনচার্জ ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মানসিক রোগের চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সরোজকুমার জানান, মাদকাসক্তরা এক প্রকার মানসিক রোগী। তাদের সুস্থ না করে আইনী উপায়ে সুস্থ করা সম্ভব নয়। সন্তানদের প্রতি বাবা-মার অসর্তকতায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে মাদকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় কিশোর বয়সেই সন্তানরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন ।