বরিশালের নিখোঁজ হায়দারের সন্ধান মেলেনি

বিএনপি’র সভাপতি আবুল হায়দারের (৪২) কোনো সন্ধান মিলেনি। এমনকি হায়দার অপহরণের কারণও এখন পর্যন্ত উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তিনি জীবিত না মৃত তাও নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে পরিবারের অভিযোগ তার সহকর্মী কবির হোসেনই জানেন হায়দারের অপহরণ রহস্য। বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোও হয়েছে। সর্বশেষ হায়দারের পরিবারের পক্ষ থেকে র্যাবের হেডকোয়ার্টার্সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বরিশাল র‌্যাব-৮’র একটি তদন্ত দল হায়দারের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তদন্ত করছে। বরিশাল র‌্যাবের মেজর রাশেদ জানান, হায়দারের নিখোঁজের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এখনও তদন্তের কাজ শেষ হয়নি। তাই কিছু বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, নগরীর করিম কুটির এলাকার আবদুর রশিদের পুত্র আবুল হায়দার। রেমান্ড ড্রাগস ওষুধ কোম্পানির বরিশাল এরিয়া ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন তিনি। ওষুধ কোম্পানির অফিসিয়াল কাজের জন্য গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর হায়দার তার সহকর্মী কবির হোসেনকে নিয়ে লঞ্চযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। ২৪ ডিসেম্বর কবির ফোন করে একই কোম্পানির দেবদাসকে জানায়, লঞ্চে উঠার কিছুক্ষণ পর থেকে হায়দারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হায়দারের স্ত্রী রোমেনা হায়দার জানান, কবির নয়, দেবদাসই তাদের কাছে হায়দারের নিখোঁজের সংবাদ তাদের কাছে পৌঁছে দেন।

প্রসঙ্গত বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের আয়নাল খানের পুত্র কবির হোসেন। সে বরিশাল নগরীতে বসবাস করে আসছে। কবির  রেমান্ড ড্রাগস ওষুধ কোম্পানির বরিশালে সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছে।  কবিরের বক্তব্য ওই দিন সকালে লঞ্চ থেকে নেমে মহাখালীর জাকারিয়া হোটেলে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। হায়দার বনভবনের নিচে দাঁড়িয়ে থেকে হোটেলের দ্বিতীয় তলায় কেবিন বুকিং করতে পাঠান তাকে।  কবির ফিরে এসে আর হায়দারকে পাচ্ছেন না বলে জানান। এরপর থেকেই হায়দারের সন্ধান মিলছে না। এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। হায়দারের ভাই হারুন-অর-রশীদ বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরিতে কাউকে আসামি করা হয় নি। হায়দারের ভাই হারুন-অর-রশীদ সেল ফোনে জানান, কবির সবকিছু জেনেও গোপন করছে। কারণ, সে একেক সময়, একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছে।