বরিশাল উত্তর জেলায় বিএনপির অন্তর্দ্বন্ধ

দলীয় কোন্দলের কারনে দিন দিন দলের আকার ছোট হয়ে আসছে। এখানে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপিই শক্তি ব্যবহার করছে। গ্র“পিংয়ের কারণে রাজনীতি থেকে দলের অনেক নিবেদিত কর্মী  নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। দীর্ঘ দিন ধরে সাংগঠনিক কর্মকান্ড বন্ধ থাকায় দলের তৃণমূল কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

এক্ষেত্রে কমিটি কেন্দ্রিক অভিযোগের বোঝা সংগঠনের সভাপতি মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ- এমপি’র ঘাড়েই চাপানো হচ্ছে। যদিও এর আগে সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন মঙ্গু ১৭ বছর উত্তর জেলার সভাপতি পদ আঁকড়ে রেখে অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে দলকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩০ নবেম্বর বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ সভাপতি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আকন কুদ্দুসুর রহমানকে সাধারন সম্পাদক, মুলাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান, আগৈলঝাড়ার ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম, গৌরনদীর লোকমান হোসেন খানকে সহসভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

কমিটি গঠনের এক বছর পরও বর্তমান কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি কিংবা কমিটির কোনো নেতৃবৃন্দকে দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এমনকি কমিটি গঠনের পর এখন পর্যন্ত পরিচিতি সভাও হয়নি। ফলে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ছাড়া বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) নির্বাচনী এলাকার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা দীর্ঘ দিন গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার রাজনীতিকে ঢাকা কেন্দ্রিক করায় এখানে বিএনপির কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। এ কারণে দিন দিন দলের আকার ছোট হয়ে আসছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি এমপি মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ জানান, বিভিন্ন কারণে কমিটি গঠনের পর আমরা পরিচিতি সভায় বসতে পারিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ইজতেমা শেষ হওয়ার পর আমরা কমিটির পরিচিতি সভায় মিলিত হব। এর পর থেকে সাংগঠনিক কর্মকান্ড গতিশীল করা হবে। উত্তর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নুরুল আলম রাজু বলেন, উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ড বন্ধ সে কথা সত্য নয়। কর্মকান্ড চলছে। যারা দলের নিবেদিত তারা ঠিকই দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আসছেন নিয়মিতভাবে। এমপি মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ সংগঠনকে গতিশীল করতে কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, দলের বিদ্রোহীদের চিহ্নিত করে সংগঠন থেকে বাদ দেয়া দরকার। তাদের কারনেই এবারের পৌরসভার নির্বাচনে উত্তর জেলার তিনটি পৌরসভায় বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।