তোপের মুখে সাবেক এমপি মঙ্গু

হোসেন মঙ্গু নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কর্মীদের তোপের মুখে পড়ার পর এবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় মঙ্গু নিজেকে রক্ষা পেতে প্রকাশ করেন আমি নয় মুলাদী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আসাদ মাহমুদ ও তার স্ত্রী দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছে। দলীয় একাধিক সূত্র এ তথ্যের নিশ্চিয়তা করেছেন। এর আগে তিনি বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী পৌর নির্বাচনে মঙ্গুর বিতর্কিত ভূমিকা মিডিয়ায় চাউর ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিশেষ করে ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে সেল ফোনে বিতর্কিত কর্মকান্ডে রাখার কারন জানতে চেয়ে উত্তপ্ত বাক্যও প্রকাশ করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েক জন ছাত্র ও যুব নেতা সেল ফোনে মঙ্গুকে জিজ্ঞাসা করেন দলের মনোনীত প্রার্থী হারুন-অর রশীদের বিপরীতে আপনি কেন আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন। ছাত্র-যুবনেতাদের প্রশ্নবানের উত্তরে তিনি কি বলবেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি বলেন আমি দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কখনোই ছিলাম না। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনাও চালিয়েছি। এমনকি দলীয় প্রার্থীকেই তিনি ভোট দিয়েছেন বলেও তাদেরকে জানিয়েছেন। সাবেক এমপি মঙ্গু নিজের বিতর্কিত ভূমিকা চাপা দিকে তিনি ছাত্রনেতাদের বলেন, বিএনপি নেতা আসাদ মাহমুদ শুরু থেকেই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নানাবিধ কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলো। একই সঙ্গে আসাদ মাহমুদের স্ত্রীও প্রকাশ্যে দলের মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করতে বিভিন্ন কারসাজি করেছে। কিন্তু তাদের কারসাজির ঘটনার সঙ্গেও তিনি সম্পূক্ত নন বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে সাবেক এই এমপি ছাত্রনেতাদের বলেন আমি আর বিএনপিই করবো না।

মুলাদী পৌরনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন-অর রশীদ বলেন, নির্বাচনে সাবেক এমপি মঙ্গুর বিতর্কিত ভূমিকার বিষয়টি হাইকমান্ডকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন বিএনপি নেতা মঙ্গু দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাননি। উল্টো তিনি বিষোধাগার মূলক কথা বলে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন।

সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন মঙ্গু বলেন, হারুন-অর রশীদ খানের চেয়ে আসাদ মাহমুদ যোগ্য প্রার্থী ছিল। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে দলের র্শীর্ঘ পর্যায়ের কতিপয় নেতারা হারুন-অর রশীদকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। মুলত এ কারনেই দলীয় প্রার্থীর ভড়াডুবি হয়েছে। তবে তিনি কখনোই দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেননি বলেও উল্লেখ করেন। সাবেক এমপি মঙ্গু আরো বলেন, ছাত্র ও যুবনেতারা মোবাইল ফোনে নির্বাচনের বিষয়ে তার কাছে জানতে চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।