ভোট দিমু ওসি সাইবেরে!

ও মেম্বারদের যে কাজ করার কথা ছিলো, হেই কাজ হ্যারা করে নায়। ভোটের সময় খালি হ্যারা আইয়া মোগো হাতে পায় ধইরা ভোট চায়। ভোট হইয়া গ্যালে আর মোগো খোঁজ কেউ নেয় না। গত এক সপ্তাহ ধইরা চেয়ারম্যান ও মেম্বারের ধারে যাইতে যাইতে অনিচ্ছা দিয়া গ্যাছে। হ্যার পরেও আমু আমু কইরা আর হ্যারা আহে নায়। শ্যাষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাজ মোগো কইরা দেছে ওসি সাইবে। এইবার ওসি সাইবের কতায় ভোট দিমু। হে যারে ভোট দিতে কইবো হ্যারেই ভোট দিমু। কথাগুলো বলছিলেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চরদিয়াশুর গ্রামের কৃষক শাহজাহান প্যাদা (৬৫)। এ কথা শুধু কৃষক শাহজাহানেরই নয়। চরদিয়াশুর, চর রমজানপুর ও বার্থী গ্রামের শতাধিক কৃষক একইভাবে জানিয়েছেন। জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুম শুরুর প্রাক্কালে কতিপয় প্রভাবশালী কর্তৃক বার্থী ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামের একমাত্র খালে বিশাল বাঁধ দিয়ে ইরি-বোরো ব্লকে পানি নিতে বাঁধা দেয়। ফলে বড়দুলালী, বাঘমারা, পশ্চিম বার্থী এলাকার ২০টি ইরি-বোরো ব্লক বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে চরদিয়াশুর ও চররমজানপুর গ্রামের দুইটি ইরি-বোরো ব্লক বন্ধ করে দিয়েছিলো পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার চরপালরদী গ্রামের লাঠিয়াল বাহিনীরা। এ খবর পেয়ে গত ১৭ জানুয়ারি চরদিয়াশুর ও চররমজানপুর এবং ১৮ জানুয়ারি বার্থী বড়দুলালী এলাকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে বন্ধ হওয়া ব্লক গুলো চালু করেছেন গৌরনদী থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম।