বরিশালের আলোচিত শোভা হত্যা মামলা সিআইডিতে

জহিরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা জহির শোভাকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি সিআইডিতে প্রেরন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তদন্তের কাজে তদন্তকারী কর্মকর্তা এখন বরিশালে অবস্থান করছেন। তবে মামলার বাদি নাজিয়া জহির লিন্ডার অভিযোগ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বাড়ি ঝালকাঠিতে হওয়ায় সুষ্ঠ তদন্তে বিঘœ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি (লিন্ডা) অন্য তদন্ত অফিসার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। বহুল আলোচিত শোভা হত্যার প্রথম মামলাটি হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েক মাস আগে স্থগিত করা হয়। এরপর গত বছরের ১৯ জুলাই শোভার কন্যা লিন্ডা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি করা হয় নিলুফা আইরিন ঝুমু, জহিরুল হক সোহেল, রুমা আহম্মেদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আজিম সরোয়ারকে।

সূত্রমতে, গত বছরের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনালে ত্রাণ ও পুর্নবাসন মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা জহির শোভাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। সকালে কোতোয়ালী পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। একইদিন দুপুরে প্রকৌশলী স্বামী জহিরুল ইসলামকে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নাজমা জহির শোভার বোন নিলুফা আইরিন ঝুমু বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলো জহিরুল ইসলাম ও হোটেল বয় আব্দুল মালেক।

হত্যার কয়েক দিন আগে প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম সেতু বিভাগের কাজে ঢাকা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বরিশালে আসেন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাজমহল গ্রামে। এদিকে জহিরুল ইসলামের কন্যা হত্যার সময়ে অষ্ট্রেলিয়ায় পড়াশুনা করছিলো। পরবর্তীতে কন্যা লিন্ডা দেশে ফিরে তার বাবাকে নির্দোষ দাবি করে আদালতে আবেদন করেন।

এক পর্যায়ে নানা নাটকীয়তার পর মামলার বাদি লিন্ডা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে মামলাটি সিআইডিতে প্রেরনের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৮ ডিসেম্বর সিআইডি বিভাগকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সিআইডি ইন্সপেক্টর সেলিম শাওনেওয়াজ। তার বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটিতে। তিনি ইতিমধ্যে তদন্তের জন্য বরিশালে এসেছেন।