মেডিকেল কলেজ সচিবের বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সচিব মোঃ খবির উদ্দিন। কেউ তার পদোন্নতিতে দুর্নীতির খবরা-খবর না রাখায় আড়ালে-আবডালেই থেকে গেছে তার সকল অপকর্ম। তিনি সকল অপকর্মের বোঝা মাথায় নিয়েই আগামি ১০ ফেব্র“য়ারি চাকুরী জীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন খবির উদ্দিনের অপকর্ম সম্পর্কে জ্ঞাত মেডিকেল কলেজের একাধিক কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন তার এ দুর্নীতি ও অনিয়মের খবরটি চাঁপা থাকলেও চাকুরির শেষ প্রান্তে এসে তা আর চাঁপা রাখতে পারেননি। অবসরের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে মেডিকেল পাড়ায়ও ততোই গুঞ্জন বেড়ে যাচ্ছে।

সূত্রমতে, খবির উদ্দিন প্রথমে অফিস সহকারী পদে চাকুরিতে যোগদান করেন। পরে তিনি উচ্চমান সহকারি পদে পদোন্নতি লাভ করেন। সরকারি নিয়মানুযায়ী কোঠা খালি থাকলেই কেবল চাকুরির আট বছর সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া যাওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সু-চতুর খবির উদ্দিন দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহন করে দ্রুত ভাবেই উচ্চ মহলকে ম্যানেজ করে সচিব পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়মানুযায়ী অফিস সহকারী থেকে হিসাব সহকারী এরপর স্টানো টাইপিষ্ট এবং স্টানো গ্রাফার পরে সচিব পদে পদোন্নতির বিধান রয়েছে। কিন্তু সরকারের সকল প্রকার নিয়মনিতীকে বৃৃদ্ধাঅঙ্গুলী দেখিয়ে খবির উদ্দিন দ্রুত ভাবে তার সব কাজ হাসিল করে নিয়েছেন। তিনি দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সরকারের লাখ লাখ টাকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। সূত্রে আরো জানা গেছে, বিভাগীয় তদন্ত করলেই কেবল খবির উদ্দিনের থলের বেড়াল বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে খবির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চাকুরি-জীবনে আমি কোন অন্যায় অনিয়ম ও দুর্নীতর আশ্রয় নেইনি। যথাযথ নিয়মেই পদোন্নতি পেয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।