পয়সারহাট নদীতে নারীদের নৌকা বাইচ দেখতে হাজারো লোকের ভীড়

উপজেলার পয়সারহাট নদীর তীরবর্তী কদমবাড়ি গ্রামের বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তরঙ্গ-এর আয়োজনে ও লাফাস সুরমা সিমেন্ট লিমিটেডের সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় ১৭৬ জন নারীদের নিয়ে গঠিত ১৬ টি দল অংশ গ্রহন করেন।
সংস্থার নির্বাহী কর্মকর্তা কহিনুর ইয়াসমিন বলেন, আধাঁরের বুক চিরে জেগে উঠুক আলো। পুরুষের চেয়ে নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। নারীরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ’৭১-র মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করেও সমাজের অনেকাংশে আজো রয়ে গেছেন অবহেলিত। আমরা নারীরা আর পিছিয়ে থাকতে চাইনা, চাই সম অধিকার। এ অধিকার আদায়ের লক্ষেই নারীদের সমন্ময়ে আমরাই প্রথম নারীদের নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছি।
নৌকা বাইচে অংশগ্রহন করে প্রথমস্থান অধিকারিনী বেলী দলের দলনেত্রী ফুলমালা রায় বলেন, বিশ্বের যা কিছু কল্যান কর, অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী-অর্ধেক তার নর। এ বাক্যকে পূর্ণরায় বাস্তবে রূপান্তরিত করতেই আমরা নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেছি। তিনি আরো বলেন, সমঅধিকার আদায়ের লক্ষে পুরুষের পাশাপাশি আমরা আগামির পথে এগিয়ে চলেছি।
নারী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় স্থানীয় ১৬ টি দল অংশগ্রহন করেন। এরমধ্যে বেলী দলের দলনেত্রী ফুলমালা রায়ের দল প্রথমস্থান, বকুল দলের দলনেত্রী সুমিত্রা অধিকারীর দল দ্বিতীয়স্থান, চাঁপা দলের দলনেত্রী ছায়া অধিকারীর দল তৃতীয়স্থান অধিকার করেছেন।
বেলা ১১ টায় নারী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে পয়সারহাট নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংস্থার নির্বাহী কর্মকর্তা কহিনুর ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাস, ইংলান্ডের দাতা সংস্থার প্রতিনিধি সিনা দে, নিকোলা মিন্ডে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংস্থার কর্মকর্তা সুভাষ সমদ্দার। শেষে প্রতিযোগীতার বিজয়ী তিনটি দলকে চ্যাম্পিয়ান ও অংশগ্রহনকারী দলের মাঝে শান্তনা পুরস্কার বিতরন করা হয়।
নারী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় দলনেত্রী ছিলেন হৈমন্তি দলের কনিকা বালা, পলাশ দলের শিল্পী বৈদ্য, কেয়া দলের আমোদিনী অধিকারী, চাঁপা দলের ছায়া অধিকারী, বকুল দলের সুমিত্রা অধিকারী, চামেলী দলের পারুল রায়, শিমুল দলের উপাশনা জয়ধর, শিউলী দলের সুলতা অধিকারী, গোলাপ দলের অন্নগতি হালদার, বেলী দলের ফুলমালা রায়, শাপলা দলের স্বরমালা অধিকারী, কামিনী দলের অঅখি অধিকারী, গাঁদা দলের লক্ষি অধিকারী, দোপাটি দলের ঊষা অধিকারী, জুঁই দলের সত্যবর্তী পান্ডে, করবি কনক রায়।