আহুক নির্বাচন – ভোটেই হবে জবাব

কালকিনিতে যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কালকিনি-ভূরঘাটা সড়ক ও কালকিনি-মোল্লারহাট সড়কসহ উপজেলার সর্বত্র রাস্তা-ঘাটগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে অধিকাংশই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক সড়কের পিচ ঢালাই উঠে গেছে, বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, সড়কের পাড় ভেঙে গেছে, কোথাও দেবে গেছে। ব্যস্ততম সড়কগুলোতে প্রতিদিন সহস্রাধিক যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এবং যাত্রীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। মূল সড়কগুলো সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এমনকি সড়কগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে ধুলা-বালিতে পাঁয়ে হেটেও যাতায়াত করতে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এমতাবস্থায় সংশ্লি­ষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সাধারন মানুষ।

সাহেবরামপুর এলাকার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কালকিনি-সাহেবরামপুর সড়কে বাসে বা যে কোনো গাড়িতে যাতায়াত করলে জীবনের আর মায়া থাকে না। বাড়ি থেকে কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাহির হলে গাড়িতে ওজ করে উঠতে হয়’।
কালকিনি-ভূরঘাটা সড়কে ইজিবাইক চালক বাবু মেলকার বলেন, ‘যে এহনো এই রাস্তায় ইজিবাইকে না যাতায়াত করছে হে বুঝবে না যাত্রী ও মোগো কষ্টের কথা। এই রাস্তায় ইজিবাইক চালানো আরো ৬মাস আগেই বন্ধ করা উচিত ছিল কিন্তু পেটে দু’মুঠো ভাত দিতে প্রতিনিয়ত জীবনকে ঠেলে দিচ্ছি জমের কাছে’। আর এক ইজিবাইক চালক জানান, ‘আমাগো উপজেলা চেয়ারম্যান হেই কবে থেকে সব জায়গায় বইলা আসছে এই হানে কাজ হইবে, টেন্ডারও নাহি হইছে কিন্তু কই হে রকম তো কিছুই দেহি না, মোগো কি খালি আশা দিয়াই রাখবো?’।

কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ভোটের সময় তো নেতারা কইছিল সৈয়দ আবুল হোসেনকে ভোট দিলে তিনি মন্ত্রী হইবেন, হলেন তো মন্ত্রী কিন্তু মোগো লাইগা কি করলেন? আহুক নির্বাচন, ভোটেই হবে জবাব’।
জানা যায়, ১৯৯২সাল থেকে প্রত্যেকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আবুল হোসেন সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এতে একবার প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। আশানুরুপ উন্নয়ন না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আওয়ামী ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর এ ক্ষেভে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থীত মেয়র প্রার্থী পরাজীত হয়েছেন বলে সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন।

সম্প্রতি কালকিনিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যোগাযোগ সচিব মোজাম্মেল হোসেন খাঁন বলেছেন, ‘এ এলাকার উন্নয়নের জন্য ১৬টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মাদারীপুর জেলা যে যোগাযোগমন্ত্রীর একটি জেলা, কালকিনি তারই একটি উপজেলা এই উপলদ্ধী আপনারা আগামী ৩বছর পর বুঝতে পারবেন’।