পিআইও’র টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

অর্থ পাশের নামে বিভিন্ন ইউনিয়নের বরাদ্ধ থেকে ১৫% টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থ বছরে বাকেরগঞ্জে কর্মসৃজন প্রকল্পে সরকার কর্তৃক ৬  কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। উক্ত কর্মসূচীর দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় বাবদ ক্রয় বাবদ বরাদ্ধকৃত ২৭ লক্ষ ৪ হাজার ৬৬৭ টাকা উত্তোলন করে পিআইও মফিজুর কোন দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় না করেই আত্মস্যাত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্ধকৃত টাকার ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ৪০ দিনের শ্রমের মজুরী বাবদ উত্তোলন করা হয়। এ টাকা থেকে পিআইও মফিজুর ১৫% হারে টাকা কেটে নেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রজেক্টের সদস্যদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, শ্রমিকদের অর্থ সরাসরি ব্যাংক থেকে উত্তোলনের নির্দেশ রয়েছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিতে গেলে অনেকের সাথে ঝগড়া করতে হয়। কিন্তুু পিআইও মফিজুরকে ১৫% টাকা না দিলে তিনি বিলে সই করেন না। এমনকি এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসারদের প্রতি পিআইও মফিজুরের কড়া নির্দেশনা রয়েছে। বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, পিআইও মফিজুরের % এর টাকা দেয়ার জন্য অনেক প্রজেক্টে কিছু ভূয়া শ্রমিক দেখিয়ে কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করতে হয়েছে প্রজেক্টের সদস্যদের। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম অজিয়র রহমানের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক পিআইওর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে পাওয়া গেছে পিআইও মফিজুরের অর্থ আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। পিআইও মফিজুর নিজেকে কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো জাপা আবার কখনো বা বিএনপির সমর্থক পরিচয় দেন। এজন্য অনেকেই পিআইও মফিজুরকে চাপাবাজ ও বাঁচাল বলে আখ্যায়িত করেন। একটি সূত্র জানায়, মফিজুর টাকা ছাড়া কিছুই চেনেন না। পিআইও মফিজুর এমপি রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলা ত্রান শাখাকে দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, একটি অদক্ষ ও বাচাল পিআইওকে দিয়ে এতবড় উপজেলার কার্যক্রম করা সম্ভব নয়। তারা জানান, পিআইও শাখায় কোন কাজ করতে এলেই পিআইও মফিজুরকে মোটা অংকের উৎকোচ প্রদান করতে হয়।