৩০ বাংলাদেশী টিনেজারকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

প্রচুর অর্থ ঢেলেছেনও তিনি। নির্যাতিতদের মুখ বাংলাদেশী টিনেজারকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগবন্ধ করতে ওই অর্থ দেয়া হয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ধর্মযাজকদের হাতে নির্যাতিতদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থা। কানাডার মিডিয়ায় প্রকাশিত ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ওই ধর্মযাজকের নাম রেভারেন্ড উইলিয়াম ক্রিসটেনসেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিয়ানিস্টস প্রভিন্সের ধর্মযাজক। ১৯৭০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সেইন্ট লুইসে অবস্থিত চামিনাডে কলেজ প্রিপারেটরি স্কুলে শিক্ষক ছিলেন।

১৯৮৬ সালে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এর এক বছর পর প্রতিষ্ঠা করেন ইনস্টিটিউট অব ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট নামের একটি সংস্থা। এর অফিস আছে সেইন্ট লুইসেও। এ সংস্থা বলেছে, তাদের লক্ষ্য গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের ক্ষমতা বাড়ানো। যাতে তারা নিজেরাই দারিদ্র্য হটাতে পারে। রোজালিন কস্তা নামের একজন সাবেক নান ওই সংস্থায় কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি মানবাধিকারের একজন কর্মী। তার দাবি, ক্রিসটেনসেন বাংলাদেশের কমপক্ষে ৩০টি টিনেজকে যৌন হয়রানি করেছেন।

এ নিয়ে তারা যাতে মুখ না খোলে সে জন্য তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে অর্থ। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়- এখন এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রসিকিউটরদের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে দ্য সারভাইভারস নেটওয়ার্ক অব দোজ অ্যাবিউজড বাই প্রিস্ট (এসএনএপি)। বুধবার তারা বলেছে- ক্রিসটেনসেন ঘন ঘন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে যাতায়াত করেন। তিনি মার্কিন কোন আইন লঙ্ঘন করেছেন কিনা সে বিষয়ে তদন্তের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেইন্ট লুইসের এটর্নি রিচার্ড চালাহানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে এটর্নি জেনারেলের অফিসের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হন নি। এসএনএপি ওই আরজিতে ক্রিসটেনসেনকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নিয়ে সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত গ্রীষ্মে এ অভিযোগের তদন্ত শুরু করে ভ্যাটিকান। তারা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায়। অক্টোবরে ভ্যাটিকান থেকে একটি ডিক্রি জারি করা হয়। এটা ভ্যাটিকান থেকে নেয়া এ অভিযোগের প্রথম পদক্ষেপ। ক্রিসটেনসেন-এর ধর্মযাজক পদবি কেড়ে নেয়ার এটা ছিল প্রথম পদক্ষেপ। ওই ডিক্রির কারণে ২৯শে নভেম্বর তিনি আপিল করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার ওই আপিলের কোন সুরাহা হয় নি। রেভারেন্ড মার্টিন সোলমা এক বিবৃতিতে বলেছেন, যতক্ষণ আপিলের ফয়সালা না হচ্ছে ততদিন বা ততক্ষণ ক্রিসটেনসেন ধর্মযাজক পদবির অধিকারী। তবে ক্রিসটেনসেন কোন অন্যায় করেন নি বলে দাবি করেছেন। ওদিকে অপবাদ দেয়ার কারণে তিনি এই মাসের শুরুর দিকে রোজালিন কস্তার বিরুদ্ধে ১৪ লাখ ডলারের মানহানি মামলা করেছেন।


খবর : বেঙ্গলী টাইমস