বাকেরগঞ্জে অসাধু ব্যাবসায়ীদের খপ্পরে পোলট্রি শিল্প

বিভিন্ন এলাকার খামারীরা জানান, এনজিওর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋননিয়ে আমরা মুরগির ঘর র্নিমান করে ব্যাবসা শুরু করি। পোলট্রি খাদ্য, বচ্চা ও ঔষধ সবহরা কারীরা এক জোট হয়ে ফার্রমারিদের কাছ থেকে কোম্পানির নির্ধারিত মূলের চেয়ে খাদ্যও বচ্চা ঔষধে চড়া মূল্য নিচ্ছে। অপর দিকে মুরগী খুচরা ব্যাবসায়ীরা ভিবিন্ন ফার্মে দাদন দিয়ে তাদের কাছ থেকে মুরগী নিয়ে  তাদের ইচ্ছে মত মূল্য দিচ্ছে। যার ফলে আমাদের লোকশানের হিসেব গুনতে হচ্ছে ও এনজিওদের ঋনের বোঝা টানতে হচ্ছে। ভরপাশার স্বর্না পোলট্রি ফার্মের মালিক জানান আমি গত তিনটি সেটে ৬০/৭৫টাকা দামে বাচ্ছা কিনে আমার সেটে উঠাই। কিন্তু মুরগী বিক্রয় করতে গেলে ৭৫টাকা কেজি হিসেবে বিক্রয় করতে হয়। যার ফলে আমার তিন টি সেটে ৬০হাজার টাকা লোকশান গুনতে হয়। তাজ পোলট্রি ফার্মের মালিক জানান গতকয়েকটি সেটে আমার ৫০/৭৫টাকা দামের বাচ্ছা কিনে ৭৫টাকা কেজি মুরগী বিক্রয় করে আমার ৬৮হাজার টাকা লোকশান হয়। গত বছর আমার ফার্মে ৭০০শত মুরগী গাম্বুরা ও রানীক্ষেতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় সব মুরগী মারা যায় যার ক্ষতির পরিমান প্রায় লক্ষাদিক টাকা হিসেব করে দেখি ৭/৮ বছর পোলট্রি ব্যাবসা করে যা আয় করেছি তা এই দু’বছরে লেকশান গুনতে হয়েছে। পোলট্রি ব্যাবসার অবস্থা এ বাভে চলতে থাকলে ভিটা বাড়ি বিক্রয় করে পাওনাদারদের টাকা পরিশোদ করতে হবে। প্রতি বছরই প্রচন্ড ঠান্ডা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে অনেক খামারের মুরগী রানীক্ষেত ও গাম্বুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। ঔষধ ব্যবহার করেও কোন ফল পাওয়া যায়না যার ফলে অনেক ফার্রমারি ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। রুনসী গ্রামের এক র্ফামারী জানান, সোনালী জাতের ২৩দিনের ৫’শতাধিক বাচ্ছা মারা গেছে। খাদ্য ও ঔষধের দাম বেশী হওয়ায় মুরগী পালনে প্রচুর ব্যায় হচ্ছে। ঠান্ডা জনিত কারণে মুরগী বাঁচিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। লেয়ার জাতের ৩৫টি ডিম পাড়া মুরগী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি আতংকিত হয়ে পড়েছেন। কৃষ্ণকাঠী গ্রামের রিয়াজ জানান, তার খামারের ৫০দিনের বয়সের সোনালী জাতের প্রায় ২’শত টি মুরগী রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ঔষধ প্রয়োগ করেও তিনি কিছু করতে পারেননি। তার মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছোটবড় অনেক খামার রয়েছে। গত কয়েক দিনের প্রচন্ড ঠান্ডা ও শীত জনিত কারণে খামার গুলোতে মুরগী মারা যাচ্ছে। ফলে খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই আবার মূলধন হারিয়ে পথে বসেছেন।