নগরীর এআরএস স্কুলে নিয়োগ বহির্ভূত নিয়োগ

তেলেসমাতি কারবার বিধি বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ। সনদপত্র জালিয়াতি, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের সাথে অশোভন আচরণ করে আলোচনার শীর্ষে অবস্থান করছেন। জানা গেছে, মোঃ জাহিদ হোসেন খান ১ নভেম্বর ১৯৯৮ সালে এআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ইংরেজী হিসেবে যোগদান করেন। তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ভরিপাশা গ্রামের মোঃ আমির হোসেন খানের পুত্র। এআরএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে তার এমপিও ইনডেক্স নং-৫১২৪৭৫। ১৯৯৮ সালের ২৪ আগস্ট দৈনিক ইত্তেফাক ও ৩০ আগষ্ট দৈনিক আজকের বার্তা পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি বিধি ও ১শ’ টাকার ব্যাংক ড্রাফ্ট উল্লেখ করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষার বাহাউদ্দিন নামে এক প্রার্থী প্রথম স্থান ও জাহিদ হোসেন ৩য় স্থান অধিকার করে। কিন্তু বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে জাহিদ হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তাছাড়া নিয়োগের সময় জাহিদ হোসেন সরকারী নিয়োগ বিধি মোতাবেক সমস্ত কাগজপত্র ছিল না। তিনি সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নেন।

জাহিদ ১৯৮৯ সালে এসএসসি ১৯৯১ সালে এইচএসসি, ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল সিটি কলেজে বি.এ পাশ ডিগ্রীতে ভর্তি হন এবং ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তবে একই বছর ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে তিনি বি.এম কলেজে ইংরেজী অনার্সে ভর্তি হন। একই বছরে দুটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বাতিলযোগ্য, সেক্ষেত্রে জাদি তথ্য গোপন করে একই বছর দুটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। তবে জাহিদ এআরএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেও ডিগ্রীতে তার ইংরেজী বিষয় ছিলনা। ডিগ্রীতে তার ইংরেজী ১শ’। ইসলামী শিক্ষা ৩শ’ সমাজবিজ্ঞান ৩০০ ও ইতিহাসে ৩০০ নম্বর ছিল। তিনি বিধি বর্হিভূত ভাবে দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের পটুয়াখালী ক্যাম্পাস থেকে বিএড ডিগ্রী অর্জন করে। অথচ শিক্ষা  মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-শিম/শা ১১/১৯-২, (এমপিও)/২০০০/৭৫৭, তাং-১৫/০৫/২০০৮ইং অনুযায়ী ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমপিও ভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি-এড করার বাধ্যতামূলক।

এদিকে জাহিদ ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার অনুমতি বা ছুটি না নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী কোর্স করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণ করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। জাহিদ প্রথম স্ত্রী কামরুন্নাহার বেবীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বর্তমানে কোন স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক নেই।