বরিশালে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলছে

প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটর সাইকেল চুরি এবং ছিনতাই হচ্ছে। জানা গেছে, নগরীতে বর্তমানে যে সকল মোটর সাইকেল চলছে তার অধিকাংশ লাইসেন্স বিহীন, কোন নম্বর প্লেট নেই। এবং অধিকাংশ মোটর সাইকেল চালায় বিভিন্ন নেতাকর্মীসহ প্রভাবশালীরা এ কারণে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি ধরলেও তা ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছে। ছেড়ে না দিলে নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। সেই সুবাদে একটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মোটর সাইকেল চুরির সাথে সাথে নম্বর প্লেট খুলে ফেলে বিক্রি করে দিচ্ছে সেগুলো। এজন্য কোন গাড়ি চুরি গেলেও পুলিশ সে গাড়ির কোন খোঁজ পাচ্ছে না। মোটর সাইকেল যোগে ছিনতাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। গাড়িতে নম্বর প্লেট না থাকায় কোন ভাবে তদন্ত করতে পারছে না পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে চোরা গাড়িগুলো এনে নির্দিধায় চালানো হচ্ছে।

রেন্ট-এ-কারেও এ গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাড়ি চুরির পরে গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হয় ভাড়ায় চালানোর জন্য বিভিন্ন জেলায়। কিন্তু প্রশাসনের চোখের সামনে সব ঘটলেও প্রশাসন কিছু করতে পারছে না। মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় ২ থেকে ৩ ঘন্টার জন্য অবৈধ মোটর সাইকেল আটকের জন্য পুলিশ দাঁড়ালেই সেখান থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি অবৈধ মোটর সাইকেল আটক হয়। থানায় নিয়ে যাবার আগেই নেতাকর্মীরা তাদের মোটর সাইকেলগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং মোটরসাইকেল ধরার জন্য পুলিশকে হতে হচ্ছে লাঞ্ছিত। এ জন্য মোটর সাইকেল চুরি হলেও প্রশাসন তেমন কিছুই করতে পারে না। প্রশাসনের অবহেলার কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি ঘটছে।