পুলিশের লাঠিচার্জে এমপি সরোয়ারসহ ২০ জন আহত ॥ সাবেক মেয়র কামালকে ঢাকায় প্রেরন

পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। পুলিশী লাঠিচার্জে মহানগর বিএনপির সভাপতি এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার  ও বিসিসির সাবেক মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সম্পাদক আহসান হাবীব কামালসহ ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সাবেক মেয়র কামালকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে।

জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির সদর রোডস্থ কার্যলয়ের সামনে থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আহসান হাবীব কামাল সমর্থকরা হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেয়। ওই সময় পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে মিছিটি ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এরপর নেতা-কর্মীরা বরিশাল আবদুর রব সেরনিয়াবাদ আইনজীবী সমিতির সামনে জড়ো হয়ে সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামালের নেতৃত্বে নগরীতে মিছিল শুরু করে। তাৎক্ষনিক পুলিশ মিছিলের উপর লাঠিচার্জ করে। পুলিশী ব্যাপক লাঠিচার্জে আহসান হাবীব কামালের পা ভেঙ্গে গেছে। আহসান হাবীব আহত হওয়ায় নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। লাঠিচার্জে এছাড়া আহত হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাজন, বিএনপি নেত্রী শামীমা আকবর, মোমিন শিকদার, অ্যাড মহসিন মন্টু।

বিএনপি নেতা অ্যাড.মহসিন মন্টু বলেন, আহসান হাবীব কামালকে আশংকাজনক অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ তাকে বেদম পিটিয়েছে। পুলিশী হামলায়  মাটিতে শুয়ে পরার পরেও তাকে ন্যাক্কারজনকভাবে পিটানো হয়েছে। তার বাম পা ভেঙ্গে গেছে।কোমরেও আঘাত পেয়েছে।

অপরদিকে বিকেল পোনে ৪টায় সদর রোডস্থ দলীয় কার্যলয়ের সামনে থেকে এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার সমর্থকরা হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেয়। তৎসময়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। লাঠিচার্জে আহত হন এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার। তাকে নগরীর এক ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এর বাইরে আহত হয়েছে মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক কামরুল আহসান শাহীন ও বিএনপি কর্মী সবুজসহ কমপক্ষে ২০ জন নেতা-কর্মী।