গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা গেছে, সদর রোডের রায়ের কাঠি লেনের মৃত্যু নুর মোহাম্মাদ হাওলাদারের সন্ত্রাসী প্রকৃতির পুত্র আল আমিন ওরফে বেল্লাল হোসেন (৩০)। সে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পূক্ত। তার জিম্মীদশায় রয়েছে আশপাশের বেশ কয়েকটি পরিবার। এই বেল্লালের নানাবিধ অনৈতিক কর্মকান্ডে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। পাশ্ববর্তী শীতলা ও কালী মাতার মন্দিরে সোমবার রাত থেকে স্বরসতি পুজা উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছিল। রাতে বেল্লাল পুজার আয়োজন করতে বাধা প্রদান করে হুঙ্কার দিয়ে বলেছে পুজার আয়োজন করলে মন্দির গুড়িয়ে দেয়া হবে। এরপর মন্দির কমিটি বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে উদ্ভূত পরিস্থিতি শামাল দেয়।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বেল্লাল ও তার সহযোগীরা মন্দিরে ভাংচুরের তান্ডব চালায়। মন্দিরের গেট, স্বরসতী প্রতিমা ও পুজা অর্চনার সরঞ্জামাদি ভেঙ্গে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রদীপ সাহা বলেন, অর্ধশত বছরের পুরানো এই মন্দিরে পুজা অর্চনা চলে আসছে। বিগত সময়ে পুজা অর্চনা করতে কোন প্রকার বাধা বা অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে নি।কিন্তু প্রশাসনের এত কঠোর নজরদারীর মাঝেও মন্দির ভাংচুরের ঘটনাটি বিস্ময়কর।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় বেল্লাল নামের এক যুবককে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত বেল্লালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে বেল্লাল বলেন, মন্দিরের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তিনি বলেন শুধু কথার কাটাকাটি হয়েছে কিন্তু মন্দির ভাংচুরের ঘটনাটি সাজানো।