তিনি জনগনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আমি গৌরনদীতে বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র এনেছিলাম। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সেই বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র কার ইন্দ্রনে সিলেট নেয়া হয়েছে। আর এখন কেনই বা গৌরনদী-আগৈলঝাড়াবাসী বিদ্যুতের চরম ভোগান্তিতে পরছে। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ একযুগ পার্বত্য এলাকায় শান্তি চুক্তির পরে কোন ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হয়নি। আর এখন পাহাড়ি বাঙ্গালীদের ইন্দ্রন যুগিয়ে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে কারাইবা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্ঠা চালাচ্ছে। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীদের বিচারের রায় কার্যকর করা পর যখন যুদ্ধাপরাধী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারের কাজ শুরু করা হয়েছে-ঠিক তখনোই দেশের মধ্যে একের পর এক অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি ও জামায়াত নেতারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, দেশের মধ্যে কেহ অশান্তির চেষ্ঠা করিয়েন না-তাহলে অশান্তির সৃষ্টি কারীদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেন-বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে টিআর, কাবিখা কি গৌরনদী-আগৈলঝাড়াবাসী জানেননি। সবকিছুই হরিলুট করা হয়েছে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের একবছরেই তিনবার টিআর, কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এডভোকেট বলরাম পোদ্দার বাবলু বলেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকার একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের নেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেয়নি। এমনকি বিদেশে থাকা সত্বেও আমাদের নেতাকে একটি বারও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে দন্ডাদেশ দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে গৌরনদীসহ গোটা দেশে চারদলীয় জোট ক্যাডাররা যে নির্মম নির্যাতন ও অত্যাচার করেছেন তা পৃথিবীল কোন সভ্য দেশে হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই।
মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শাহজাহান সরদারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বিশেষ অতিথি ছিলেন গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ আলম খান, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ খান, এডভোকেট শেখ কাদের, ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী। বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা কালিয়া দমন গুহ, আকবর হোসেন ফারুক, আলমগীর হোসেন কবিরাজ, আনোয়ার হোসেন রাঢ়ী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ, যুগ্ন আহবায়ক জামাল খন্দকার, যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন সরদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মাহবুব আলম প্রমুখ।