আমরা বাচঁতে চাই, আমাদের বাচাঁন

ভদ্র মুখোশথারী মানুষ গুলোর প্রভাবে জীবন থেকে বাঁচার স্বাথই চলে গিয়েছিল। মাঝে মা সহ আমরা চার ভাই-বোন বিষ খেয়ে একত্রে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু একত্রে হতে না পারায় তা আর I need Helpসম্ভব হয়নি।এখন আমরা আবার সেই প্রস্তুতি নিয়েছি, হয় আমাদেরকে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করবেন না হয় আমরা চার ভাই-বোন বিষ খেয়ে মারা যাব এবং আমাদের মত ধুকে ধুকে আর যে সব পরিবার এর সন্তানরা আজ অর্ধমৃত তাদের জন্য। আমরা আমাদের চারটি প্রাণের বিনিময়ে যদি দেশের চারলক্ষ অসুস্থ পরিবারের কোনো উপকার আসে, তাও ভাল। এভাবে বেঁচে থাকা কত কষ্টকর তা শুধু আমাদের মত অবস্থায় যারা আছে, তারাই বুঝতে পারবে।

২০০১ এর সময় আমার আব্বা মেয়ে মানুষ নিয়ে মা ও আমাদের কাছে ধরা পড়ার পর থেকে আমাদের তিনি তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমদের তিনি চক্ষুশূল করে ফেলেছেন। তিনি আমাদের ভরন পোষন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। বাবার যত সম্পত্তি ছিল সব বিক্রি করে আমাদের বঞ্চিত করে ফুর্তি করে মেয়ে-মানুষের পিছনে উড়িয়ে দিয়েছেন। ২০০৯ থেকে তিনি আমাদের যে বাড়িটিতে অবস্থান করছি, তাও বিক্রি করার পায়তাঁরা করছিলেন। শুনেছি, তিনি বিয়ে করে ঐ ঘরে তার একটি ছেলেও রয়েছে। তিনি এখন আমাদের বাসস্থানের জমিটুকু বিক্রি ও মাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তার কথামত রাজী না হওয়ায় তার ভাই ও তার দুলাভাই এর মাধ্যমে মা ও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে মাকে জেলহাজতে রেখেছেন। আমাদের বিভিন্ন ভাবে হমকি-ধামকি প্রদান করতেছে, নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি, যে কারনে আমরা চার ভাই-বোন ঢাকায় পালিয়ে এসেছি। প্রতি রাত্রে আমাদের বাড়ির চালে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। জীবন অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আমাদের ফুফু জীবিত, অথচ তাকে মৃত দেখিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করে আমাদের মাকে জেলহাজতে রেখেছে।

আইনের কাছে যাব, কিভাবে যাব? তাদের টাকা আছে, তারা আইনকে পকেটের মধ্যে রেখেছে। মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাকে গ্রেফতার করছে, যেখানে এখনো ভিকটিম জীবিত, কোনরকম ময়না-তদন্ত তো দুরের কথা, থানা কি লাস দেখেছে? কেন এই মিথ্যাচার? একজন জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়ে দিল, আর তা শুনে থানার ওসি মো: আনোয়ার হোসেন আমাদের বাসায় এসে আমাদের মাকে চুল ধরে টেনে হিচঁড়ে পুলিশের গাড়ীতে করে ধরে নিয়ে যায়। আমার মা তখন ভাত খাচ্ছিল, পানি খেতে চাওয়ায় আমার মেজ বোন পানির গ্লাস নিয়ে এসেছিল, তা দেখে ওসি তাকে থাপ্পড় দিয়ে ফেলে দেয়। দেশের আইনের আজ এত দুরবস্থা! আমরা কার কাছে যাব?

আমাদের মাকে গ্রেফতারের পর শুরু হয় আমাদের বিভিন্ন ভাবে হমকি ও প্রাণনাশের চেষ্টা। মা বাসায় না থাকায় তারা যখন তখন আমাদের বাসার সামনে এসে গালি-গালাজ ও হুমকি ধামকি দিতে শুরু করেছে। প্রভাবশালীরা তাদের পক্ষে হওয়ায় আমরা কিছুই করতে পারছিনা। ওসি বলেছে তারা নাকি থানা কিনে নিয়েছে। ওসি আমাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা চাচ্ছে, যেখানে আমরা দু’বেলা খেয়ে দিন কাটাঁয়, সেখানে আমরা টাকা কোথায় পাব? আমরা আজ বড় অসহায়, আমাদের বাচাঁন। এসব লোকের হিংস্র থাবা থেকে আমাদের রক্ষা করার মত কি কেউ নেয়? শুনেছি, তাদের অনেকেই জয়ের বন্ধু ও আপা তাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেন। আমাদের একটা আশা ছিল আমরা তার কাছে সাহায্য চাইব। এখন আমরা তাহলে কোথায় যাব? আমরা কোথায় দাড়াব?

সকলের কাছে অনুরোধ, আমাদের মাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন। আমাদের নিরপত্তার ব্যবস্থা করে দিন। এভাবে পালিয়ে বেড়ানোর চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভাল। কোনো সুহৃদয় ব্যক্তি যদি আমাদের পাশে না দাড়াঁন, তবে মৃত্যু ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেয়। আমাদের মা অসুস্থ, হার্টের রোগী, হাই প্রেশার রয়েছে, যদি তিনি মারা যান, আমাদের যে আর কেউ থাকবেনা। আমাদের সামনে শুধু একটাই রাস্তা দেখতে পাচ্ছি, আর তা হলমরে যাওয়া। এতগুলো জীবনকে বাচাঁতে কি কেউ এগিয়ে আসবেননা?

৯ই ফেব্রুয়ারী ২০১১, ১২ টা থেকে প্রেস ক্লাবে মানব বন্ধন হবে। সবার প্রতি অনুরোধ, সাহায্য করুন। কিছু না পারলে অন্তত মানব বন্ধনে হাতটি ধরে পাশে দাড়ান।

 

যোগাযোগ : ফরহাদ- SomeWhereinBlog.Net

মোবাইল: 01717052397