হারিয়ে যাচ্ছে খেঁজুর রস

গ্রামাঞ্চলের খেঁজুর গাছি বা শিউলিরা গাছের রস সংগ্রহের জন্য এখন ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে প্রতীক খেঁজুর গাছ। পাশাপাশি অর্থকারী সম্পদও। হারিয়ে যাচ্ছে খেঁজুর রসগ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে এ গাছের সম্পর্ক পুরানো ও নিবিড়। দেশে সাধারণত পুরুষ এবং স্ত্রী দু’প্রজাতির খেজুর গাছ দেখা যায়। স্ত্রী প্রজাতির গাছে খেজুর ও রস উভয়ই পাওয়া যায়। পুরুষ প্রজাতির খেঁজুর গাছ থেকে শুধুই রস সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে ইটভাটায় জ্বালানী হিসেবে ব্যবহারের কারণে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার এই সৌন্দর্য্যরে প্রতীক খেঁজুর গাছ। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে হাজার হাজার গাছের মধ্যে এ গাছ অনেক স্থানে সারি বেধেঁ দাঁড়িয়ে থাকতো। অপরিকল্পিতভাবে কেটে রস সংগ্রহ করা এবং নতুন করে খেঁজুর গাছ হারিয়ে যাওয়ার ফলে খেঁজুরগাছ তেমন একটা চোখে পরেনা। তাই গ্রামাঞ্চলের রাস্তার পাশে এখন আর সারি বাঁধা খেজুর গাছের দৃশ্য দেখা যায়না। খেজুর গাছে ঝুলানো রস সংগ্রহের মাটির হাঁড়ি। এদেশে শীতকালে খেজুর গাছের রস দিয়ে পায়েস ও পিঠা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু খেজুর গাছ বিলুপ্তির কারণে এখন আর গ্রামাঞ্চলের শীতের পিঠা খাওয়ার তেমন কোন ধুম নেই।