ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরও সরানো হয়নি দাহ্য পদার্থের গুদাম

এরফলে সোনালী ব্যাংকসহ পুরো বাজার অগ্নিকান্ডের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সাম্প্রতিক অগ্নিকা-ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় এ ব্যাংকটি। বাজারের ভেতর অনুমোদনবিহনী দাহ্য পদার্থ বেচা বিক্রি হলেও প্রশাসনের নজর নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আলীকদম বাজারে নাছির সওদাগরের মালিকানাধীন ভবনে রয়েছে সোনালী ব্যাংক আলীকদম শাখা। এর পাশেই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে নাছির স্টোরের দাহ্য পদার্থের গুদাম। এরফলে সোনালী ব্যাংকসহ পুরো আলীকদম বাজারটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলীকদম শাখা সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। দীর্ঘদিন ধরে আলীকদম বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতির মালীকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় মাসিক ভাড়ায় চলছে ব্যাংকের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন। একই ভবনের পাশেই রয়েছে একটি দাহ্য পদার্থের গুদাম রয়েছে। এখানে পেট্রোল অকটেন ডিজেল কেরোসিন বিক্রি হয়।

উল্লেখ্য যে, গত বছর ২৪ মার্চ রাতে আলীকদম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ২ শতাদিক দোকানঘর পুড়ে যায়। সে সময় এই দাহ্য পদার্থর গুদাম থেকে আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তে পুরো বাজারকে অগ্নিকু-ে পরিণত করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গুদামে রক্ষিত পরপর তিনটি তেলের ড্রাম আগুনে বিস্ফোরিত হলে বাজারে উত্তর গলিতে দ্রুত বেগে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় সেনাবাহিনীর অগ্নিনির্বাপক দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও উত্তর গলির দোকানপাট রক্ষা করতে পারেনি। দাহ্য পদার্থের  গুদাম থেকে আগুন না ছড়ালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো কম হতে পারত বলে প্রত্যক্ষর্শীরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, দাহ্য পদার্থের জন্য আলাদা গুদাম করতে হয়। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে নাছির স্টোর আলীকদম বাজারের ভেতরের দাহ্য পদার্থের গুদাম স্থাপন করেছেন। বাজার ব্যবসায়ীসহ সচেতন লোকজন এই দাহ্য পদার্থের গুদাম অন্যত্র সরিয়ে নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে, আলীকদম বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের টাউন হলটি গত একবছর ধরে অবৈধ দখলে রেখেছে নাছির স্টোর। টাউন হলটিকে গুদামে পরিণত করে সেখানে রাখা হয়েছে ইউরিয়া সার ও সিমেন্ট। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।


মমতাজ উদ্দিন আহমদ
আলীকদম প্রতিনিধি