এ বিষয়ে তদন্তের জন্য গত ২৮ ফেব্র“য়ারি সার্ভেয়ার আবুল কালাম সরেজমিনে গেলে শতিশের পুত্র গোবিন্দ ও খোকন চন্দ্র দাস তাকে (সার্ভেয়ারকে) শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে সহকারি কমিশনার ভূমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাস জমি নির্ধারন করে সীমানা পিলার পুতে আসেন। ওইসময় আগামি ৮ দিনের মধ্যে তাদের অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে গত শুক্রবার (১২ মার্চ) গভীর রাতে শতিশের পুত্ররা তাদের সহযোগীদের নিয়ে সরকারি সম্পত্তির ফলজ (একটি নারিকেল গাছ) কেটে পূর্ণরায় দোকান ঘরের নির্মান কাজ শুরু করেন।
এ ব্যাপারে মাহিলাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে শতিশের পুত্ররা ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে গাছ কেটে নিয়েছে। এ খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। তিনি আরো জানান, দখলদাররা সরকারি সম্পত্তিতে পাকা ভবন নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মোঃ ইলিয়াস হোসেন মিয়া সরকারি খাস জমিতে অবৈধ ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মানসহ ফলজ গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখল প্রসঙ্গে শতিশের পুত্র গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, আমার পিতার ক্রয়কৃত জমির পার্শ্বে একটু সরকারি জমি আছে। যা ইতিপূর্বে আমরাই ভোগ দখল করতাম।