সরেজমিন ও সংশ্লি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে পোষ্ট মাষ্টারের বাসাসহ বাটাজোর সাব পোষ্ট অফিস ভবনটি নির্মান করা হয়। ৭/৮ বছর আগে এ পাকা ডাকঘর ভবনের ছাঁদসহ বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের ফাঁটল দেখা দেয়। ফাটলের কারনে ছাঁদের প্লাষ্টার খসে গিয়ে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পোষ্ট অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি জানান, পোষ্ট অফিসটি নির্মান সময়কালে নির্মান কাজের গুনগত মান খারাপ থাকায় অল্প সময়েই ভবনটি ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পরে। বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে বেহালদশায় রয়েছে। যে কোন সময় ভবনের ছাঁদ ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বাটাজোর পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাষ্টার আবু বক্কর আকন জানান, ডাক ঘরের সিকিউরটির জন্য নেই কোন কলাবসিবল গেট, জানালা, দরজা ভেঙ্গে একাকার, ভবনের ছাঁদসহ বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাঁটল। অতিসম্প্রতি ছাঁদের ক্ষয়িষ্ণু অংশ ভেঙ্গে নাইটগার্ড আব্দুস সাত্তার সরদারের শরীরে পরলে সে গুরুতর আহত হয়। এ ছাড়া প্রায়ই পোষ্ট অফিসে আগতদের শরীরে ছাদের ক্ষয়িষ্ণু অংশ ভেঙ্গে পরে ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। তিনি আরো জানান, ব্যবহারে অযোগ্য ভবনটি ভেঙ্গে পূর্ণনির্মানের জন্য একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কয়েকবার ভবনটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করলেও আজও তার কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
বাটাজোর সাব পোষ্ট অফিসের আওতাধীন ১১টি (ব্র্যাঞ্চ) শাখা পোষ্ট অফিস রয়েছে। বর্তমানে বাটাজোর পোষ্ট অফিসে একজন পোষ্ট মাষ্টার, একজন পোষ্টম্যান ও তিনজন রানার কর্মরত রয়েছেন। স্থানীয়রা জরুরি ভিত্তিত্বে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে পূর্ণরায় ভবন নির্মানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লি¬ষ্ট দপ্তরের কাছে দাবি জানিয়েছেন।