দায়সারা ভাবে একুশ উদযাপন অবহেলিত ৪০ বছরের শহীদ মিনার

এমনকি আয়োজন করা হয়নি প্রভাত ফেরির। এক প্রকার দায়সারা ভাবেই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের জন্মভূমি বরিশালের গৌরনদীতে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস মহান একুশে ফেব্র“য়ারি উদ্যাপিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুর চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে আয়োজক কমিটির দায়সারা আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ, গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম, উপজেলা সমন্ময় পরিষদের একাধিক সদস্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

অপরদিকে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে গৌরনদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে সরকারী গৌরনদী কলেজের ছাত্র সংসদের সম্মুখের শহীদ মিনারটি ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। বিগত ২০০৭ সালে উপজেলা পরিষদের এক সমন্ময় সভায় উপজেলা চত্বরকে ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব চত্বর হিসেবে নামকরন করা হয়। ওই বছরই ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব চত্বরে একটি শহীদ মিনার নির্মান করে পরবর্তী সমন্ময় পরিষদের সভায় গৌরনদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে ওই শহীদ মিনারটিকে ঘোষনা করা হয়। সেই থেকে অদ্যবর্ধি অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি। এ নিয়েও চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সুশীল সমাজের মধ্যে। এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তিনি তার ব্যবহৃত ফোনটি রিসিফ করেননি।