সীমিত সম্পদের দেশ বাংলাদেশ। স্বাভাবিক জীবনের এখানে নিশ্চয়তা নেই। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের পরিধিও এখানে বিপজ্জনকভাবে সীমিত। ১৫ কোটি মানুষকে বেঁচে থাকার জন্যে এখানে লড়াই করতে হয়। ইডেন কলেজের ছাত্রীদের লড়াইও ছিল তাদের বেঁচে থাকার লড়াই। যেমনটা শেখ হাসিনা লড়ছেন খালেদা জিয়ার বিরুদ্বে, খালেদা লড়ছেন হাসিনার বিরুদ্বে, লীগ লড়ছে দলের বিরুদ্বে, আদালতে লড়ছেন আইনজীবীরা, সংসদে লড়ছেন সাংসদরা। এক কথায় গোটা দেশজুড়ে এখন লড়াই, অসৎ পথে দ্রুত ভাগ্য ফেরানোর লড়াই। চাঁদাবাজির ১৪টা মামলা মাথায় নিয়ে ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। গেল এক সপ্তাহে গোপালগঞ্জের আ’লীগের সাবেক সভাপতি বিচারপতি শামশুল হুদার কোর্টে একে একে বাতিল হয়ে গেল সবগুলো মামলা। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যদি পুকুর চুরি করে পার পেতে পারেন তাহলে ইডেন কলেজ ছাত্রীরা কেন সামান্য চাঁদাবাজি আর দেহ ব্যবসা করে পার পাবে না তা বিচারের ভার পাঠকদের উপরই ছেড়ে দিলাম।
যতদূর জানি ভ্যাটিকান ও কসভো ছাড়া জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত দেশের সংখ্যা মোট ১৯২। আর্থ-সামাজিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের তুলনায় অনুন্নত ও গরীব দেশের সংখ্যাও পৃথিবীতে কম নয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো নির্বিশেষে ১৯৪টা দেশের প্রায় সব কটাতেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সময়ের চাহিদা মেটাতে পারে এমন প্রজন্ম গড়ে তোলার চেষ্টা চল্ছে। বাংলাদেশই হয়ত এর একমাত্র ব্যতিক্রম। এখানে শিক্ষার আসল গুরুত্ব লেখাপড়ায় নয়, গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাজানো হয়েছে বিবাদমান দুই পরিবারের চাহিদা মেটানোর জরায়ু হিসাবে। বিশ্বের দ্বিতীয় কোন দেশে রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে ছাত্রীরা হাতাহাতি করছে এমন ঘটনা অশ্রুত, অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য।
জয় হোক দেশীয় রাজনীতির!!!
ছবি: প্রথম আলো
Source : AmiBangladeshi>oRg