গৌরনদীতে আলুর বাম্পার ফলন তবু হাসি নেই কৃষকের মুখে

এক মাসের ব্যবধানে দাম কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩শ’ টাকা থেকে ৪শ’ টাকায়। আলু চাষীরা জানান, তারা প্রতি চার কাঠা জমির ফলনে আলুর হিসাব করেন। কারণ প্রতি প্যাকেটে এক মণ আলুর বীজ থাকে, এক মণ বীজে চার কাঠা পরিমাণ জমি চাষ করা যায়। চলতি মৌসুমে ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায় আলুর বীজ কিনেছে কৃষকরা। রোপণ, সার, ওষুধসহ আলু তোলা পর্যন্ত প্রতি চার কাঠা জমিতে কৃষকের খরচ হয়েছে দেড় হাজার টাকারও বেশি। অন্যবার প্রতি চার কাঠায় আলু উৎপাদন হয়েছিল ৭ থেকে ৮ মণ। এবার আলুর ফলন হয়েছে প্রতি চার কাঠায় ১০ থেকে ১২ মণ। চলতি মৌসুমে ৩ থেকে ৪ মণ ফলন বেশি হলেও দাম কম থাকায় আলু চাষীরা পড়েছেন বিপাকে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমণ আলু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। টরকী বাজারে আলু বিক্রেতা মোসলেম হাওলাদার জানান, মৌসুমের শুরুতে আলুর দাম সাড়ে ৯শ’ টাকা থেকে হাজার টাকা ছিল। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আলুর দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে কৃষকরা শংকিত রয়েছে। কৃষি অফিস শুত্রে জানিয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে আলু চাষিদের প্রতি আড়াই শতাংশে ৮০০টাকা করে ২২হাজার আলু চাষিকে ভর্তুকি প্রদান করা হবে।

Publisher : এইচ. এম সুমন