গৌরনদী-আগৈলঝাড়া সম্ভাব্য অর্ধশত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে

ও আগৈলঝাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আমেজ। হাট-বাজারের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সর্বত্র নির্বাচনী আলোচনার ঝড় বইছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে সম্ভ্রাব্য চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মেম্বার প্রার্থীদের গণসংযোগ। দেশের প্রধান দু’রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সমর্থন আদায়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের কাছে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হওয়ায় ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগের চেয়ে বেশি ভোটারমুখী হচ্ছেন। গৌরনদী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে এবার উভয় দলের ৩৫ জন ও আগৈলঝাড়ার ৫ টি ইউনিয়নে ১৫ জন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোটারদের সমর্থন আদায়ে মাঠে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন।

সম্ভ্রাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর অধিকাংশরাই হচ্ছেন নতুন মুখ। গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে গণসংযোগ করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আকন সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ নুর আলম সেরনিয়াবাত, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, মোঃ মতলেব হোসেন মাতুব্বর, অখিল চন্দ্র দাস ও প্রণব রঞ্জন বাবু দত্ত। অখিল চন্দ্র দাস এবং প্রণব রঞ্জন বাবু দত্ত দীর্ঘদিন থেকে মাঠে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন। বার্থী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা প্রভাষক ফকরুল আলম মিয়া, মোঃ আবুল কালাম খান, আওয়ামীলীগ নেতা রাজু আহম্মেদ হারুন, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, মোঃ ফারুক বেপারী, মোঃ শাহজাহান প্যাদা ও যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান আনিস গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তবে নতুন প্রার্থী হিসেবে জনসমর্থনে যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান আনিস রয়েছেন অনেকটাই এগিয়ে। চাঁদশী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা তাইফুর রহমান কচি, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ হাক্কানি আলম, কৃষ্ণ কান্ত দে, সৈয়দ মোঃ নজরুল ইসলাম ও সৈয়দ জিয়াউর রহমান শিমুলের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে কৃষ্ণ কান্ত দে দলীয় মনোনয়ন পেলে কোন বির্তক থাকবেনা বলে জানিয়েছেন সাধারন ভোটাররা। মাহিলাড়া ইউনিয়নে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন যুবলীগ নেতা সৈকত গুহ পিকলু। ওই ইউনিয়নে এখনো অন্যকারো নাম শোনা যায়নি। এখানে বিনাপ্রতিদ্বন্ডীতায় পিকলুর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাটাজোর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এইচ.এম সামচুল হক, মোঃ আকতার হোসেন বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রব হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোঃ মজিবর রহমান মোল্লা, পরিমল চক্রবর্তী ও সাইদুর রহমান সাঈদ মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সরিকল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মঞ্জুর হোসেন মিলন, আওয়ামীলীগ নেতা আঃ মান্নান মৃধা, মোঃ ফারুক হোসেন মোল্লা, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মঞ্জু ও ফারুক মৃধার নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এখানে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে খন্দকার শাহ আলম মঞ্জু রয়েছেন অনেকটাই এগিয়ে। নলচিড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সেকান্দার হোসেন মৃধা, আওয়ামীলীগ নেতা এইচ.এম শাহজাহান কবীর, গোলাম হাফিজ মৃধা ও খোকন মল্লিক মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

একইভাবে আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে এরমধ্যে রত্মপুর ইউনিয়নে সাংবাদিক প্রবীর বিশ্বাস ননী ও উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রেমন ভূঁইয়া, রাজিহার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন তালুকদার, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শওকত ও সমাজসেবক আব্দুস সালাম সরদার, গৈলা ইউনিয়নে সাংবাদিক সাইদুর রহমান স্বপন, সাংবাদিক শামীম খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম সেরনিয়াবাত আজাদ, বাকাল ইউনিয়নে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম চুন্নু, বাগধা ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে রেখেছেন।