ইউএনও ও মৎস্য কর্মকর্তাকে শোকজ

ও একই পদে ইমাম নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন বান্দরবানের বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত। একই সাথে আদালত মামলার বিবাদী মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি- আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদস্য সচিব- উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ১৯ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। গত বুধবার বরখাস্ত হওয়া ইমাম মাওলানা আবুজর গেফারীর দায়ের করা বান্দরবান জজ কোর্টের অপর মামলা নং- ৩৮/২০১১ এর শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত এ নির্দেশ দেন।

যোগাযোগ করা হলে এ মামলার কৌশলী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম জানান, শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির গত ১ নভেম্বর ২০১০ ইং তারিখের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত এবং ৩০ জানুয়ারী ২০১১ তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত শূন্যপদে ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থাগিতাদেশ প্রদান করেছেন। একই সাথে মামলার বিবাদী আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দাখিলের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ জেলা যুগ্ম জজ আদালত।
মামলা বিবাদী উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুজ্জামান জানান, তারা বৃহস্পতিবার আদালতের স্থাগিত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। মামলার পরবর্তী ধার্য্য তারিখে আদালতে কমিটির পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আলীকদমের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইরতিজা আহসানের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম সংস্থাপন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে পত্র দেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাবেক ইউএনও নিজের পক্ষে দলভারি করার লক্ষ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষের সাথে আঁতাত শুরু করেন। উপজেলা পরিষদ মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুজর গেফারী আঁতাতে যোগ না দেয়ায় ইউএনও ইরতিজা এ ইমামে ওপর নাখোশ ছিলেন। ফলে তিনি আলীকদম থেকে বদলী হয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুরে যাবার আগের দিন রাতে তড়িগড়ি একটি মিটিং দেখিয়ে ইমাম মাওলানা আবুজর গেফারীকে ১৮ বছরের ইমামতির চাকুরী থেকে এক তরফা সিদ্ধান্তে বরখাস্ত করেন। মামলার বাদী জানান, তার আঠার বছরের চাকুরী জীবনে কমিটির পক্ষ থেকে তাকে একটিও কারণ দর্শানো হয়নি। চাকুরী থেকে বরখাস্তের আগে তাকে কোন ধরণের আত্মপক্ষের সুযোগও দেয়া হয়নি। মিথ্যা অভিযোগে তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।