মমতার রেল বাজেট পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে

নিয়ন্ত্রণে তা সহায়ক হবে৷ এটা আমজনতার বাজেট৷ পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে জোর দেয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়বে৷” শিল্পমহলের প্রতিক্রিয়া মিশ্র৷ সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং রেল ইঞ্জিন ও কোচ নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহের দিকটা রয়ে গেছে অস্পষ্ট৷ রেল নিরাপত্তা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে তেমন নজর  দেয়া হয়নি৷ দ্বিতীয়ত, সমাজের আপামর জনসাধারণকে বেশি সুবিধা দিতে গিয়ে পারদর্শিতায় টান পড়ার সম্ভাবনা আছে৷

রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দল বিজেপি নেতা অনন্ত কুমারের মন্তব্য, রেল বাজেট যেন নির্বাচনী ইস্তেহার৷ পুরো নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকে৷ দেশের অন্য অংশ অবহেলিত৷ অপর বিজেপি নেতা রুডি বলেন, রেল বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে৷ মমতা ব্যানার্জীর গত বছরের বাজেটে দেয়া প্রস্তাব পূরণ হয়নি৷ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বাড়তি রেললাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্বমানের রেলস্টেশন নির্মাণের নামগন্ধ নেই৷ সিপিআই নেতা ডি.রাজা,বাজেটে দূরদর্শিতার অভাব৷ দীর্ঘ মেয়াদি কোন পরিকল্পনা নেই৷ যে-সব প্রকল্পের কথা বলা হয়েছিল আগে, তা সম্পূর্ণ হয়নি৷ রেল বাজেটের আর্থিক সংস্থান সম্পর্কে রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ৩,৭০০ কোটি টাকা ব্যয় সঙ্কোচ করা হয়, লাভের পরিমাণ হলো ৫৭,৬৩০ কোটি টাকা৷ করমুক্ত বন্ড ছেড়ে তোলা হবে ১০,০০০ কোটি টাকা৷ রেলমন্ত্রী বলেন, রেল দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন রেলওয়েতে বসানো হচ্ছে অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস৷ রেল-ভিত্তিক শিল্পস্থাপন কর্মসূচিতে দার্জিলিঙ-এ হবে সফটওয়্যার কেন্দ্র৷

এছাড়া রেল বাজেটের অন্যান্য দিক হলো, শহর ও গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের জন্য বেশি সুবিধা,  ৮৫টি সরকরি-বেসরকারি যৌথ প্রকল্প৷ রেল ভিত্তিক যেসব শিল্প স্থাপন করা হবে তার মধ্যে আছে ওড়িশায় ওয়াগন কারখানা, কেরালায় কোচ ও যন্ত্রাংশ কারখানা, জম্মুতে টানেল ও ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সিটিউশন, মণিপুরে ডিজেল ইঞ্জিন কারখানা, পশ্চিমবঙ্গের উলুবেড়িয়ায় ট্র্যাক-মেশিন কারখানা, নন্দীগ্রামে রেলের শিল্প তালুক, সিঙ্গুরে মেট্রো কোচ ফ্যাকটরি ইত্যাদি৷ ৫৬টি নতুন ট্রেন ৯টি দুরন্ত এক্সপ্রেস চালু হবে৷ কলকাতা মেট্রোর জন্য রয়েছে ৩৪টি নতুন সার্ভিস,মেট্রো লাইন সম্প্রসারণ, পশ্চিমবঙ্গে শহরাঞ্চলের জন্য ৫০টি বাড়তি ট্রেন এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে যাবার ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

Source : dw-world.de