ডায়াবেটিস রোগের এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, সচেতনতার অভাবে অনেকেই ডায়াবেটিসে আক্রানত্ম হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৬০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। আগামী ২০৩০ সালে তা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম স্থানে। বর্তমান বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ দখল করে নেবে ৭ম স্থান। উন্নত বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৃদ্ধির হার বেশি। নানা কর্মসূচী অব্যাহত রাখার পরও দেশের ৬০ লাখ ডায়াবেটিস রোগীর মাত্র শতকরা ২৫ ভাগ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে পেরেছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। ডায়াবেটিসের এমন চিত্র সামনে রেখে আজ সোমবার দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস। সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করলে রোগী নিজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছে। ডায়াবেটিস আজ পৃথিবীব্যাপী মহামারি। উন্নত বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৃদ্ধির হার বেশি। ২০০৩ সালে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগী ছিল ১৯ কোটি। আগামী ২০৩০ সালে তা বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একইভাবে বাংলাদেশে গত ২০০৩ সালে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ এবং আগামী ২০৩০ সালে তা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম স্থানে। বর্তমান বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ দখল করে নেবে ৭ম স্থান। বাংলাদেশে ডায়াবেটিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৬০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বর্তমানে বারডেম, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক (এনএইচএন) ও হেলথকেয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এইচসিডিপি) ২০ কেন্দ্র এবং ৫৭টি অধিভুক্ত সমিতির মাধ্যমে সারাদেশে ডায়াবেটিস সেবা দিয়ে আসছে। ডায়াবেটিস সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে এই সমিতি এখন পৃথিবীর বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। তা সত্ত্বেও দেশের ৬০ লাখ ডায়াবেটিস রোগীর মাত্রা শতকরা ২৫ ভাগ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে পেরেছে বাডাস। তবে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে বাডাস অনত্মত শতকরা ৫০ ভাগ ডায়াবেটিস রোগীকে সেবার আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নানা পরিকল্পনা ও কর্মসূচীর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরম্নত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান।
এ ব্যাপারে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের (বাডাস) গৃহীত বহুমুখী কর্মসূচীর বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে ৫৬ জেলায় ৫৭ অধিভুক্ত সমিতি রয়েছে। বাকি ৮ জেলাতে ও অধিভুক্ত জেলাতেও অধিভুক্ত সমিতি গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ডায়াবেটিস সেবার পরিধি বাড়াতে অধিভুক্ত সমিতির পাশাপাশি অধিভুক্ত সমিতির অধীনে উপজেলা পর্যায়ে সহ-অধিভুক্ত সমিতি দেয়ার ব্যাপারেও আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। এক্রিডিটেড ফিজিশিয়ানদের ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রত্যনত্ম অঞ্চলে বিশেষ করে ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ে এক্রিডিটেড ফিজিশিয়ানদের মাধ্যমেও ডায়াবেটিস সেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে রোগীকে স্বনির্ভর করতে পারলে রোগীদের চিকিৎসকের প্রতি নির্ভরশীলতা কমে আসবে।