বয়স্ক ভাতা পাবেন ৭৫ বছরের মালতী রানী

বাস করেন ৭৫ বছর বয়স্ক বিধবা বৃদ্ধা মালতী রানী রায়। স্বামী ফটিক রায় গত হয়েছেন ১৫ বছর আগে। মালতী রানীর ২ মেয়ে কাজল রানী বিবাহ সূত্রে ভারতের বাসিন্দা, ছোট মেয়ে সবিতাও বিবাহিত। হারতা ইউণিয়নের নাথারকান্দি গ্রামে শশুরবাড়ীতে অভাবের সংসারে গৃহিনী হিসাবে আছে। বর্তমান সরকার সারা বাংলাদেশে গরিব দুস্থদের জণ্য বিভিন্ন ভাতা সুবিধাদি দিয়ে আসলেও প্রকত দুস্থদের হাতে তা খুব কমই পৌছায়।  এরকম এক অসহায় দুস্থ বিধবা ও বয়স্ক নারী মালতী রানী রায়। উজিরপুর উপজেলা সদর থেকে তার বাড়ী প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পশ্চিমে নিখাদ গ্রামীন জনপদে । সড়ক যোগযোগের উন্নতি হলেও এখনো ঐ গ্রামের মানুষগুলো চরমভাবে অবহেলিত।

উজিরপুর  উপজেলায় বর্তমানে বয়স্ক এবং বিধবা ভাতা বাছ্ইা চলছে, স্ব- স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বরগন তাদের পছন্দের লোকগুলোকে ২ বছর মেয়াদী এই ভাতা প্রাপ্তির সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছেন। ঠিক এই সময় মালতী রানীর সংবাদ পেলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়সিন্ধু তালুকদার । তিনি বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শ্যামল সেনগুপ্ত কে সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিলে তিনি আমাকে নিয়ে ২৩ ফেব্র“য়ারী দুপুরে পঃ শিবপুর গ্রামে মালতী রানীর বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই ছোট ১ টি একচালা ঝুপড়ি ঘরের সামনে দাড়িয়ে আছেন জীর্ণর্সীন দেহে ছেড়া বসন জড়িয়ে মালতী রানী রায়। একজন সরকারী কর্মকর্তা একজন সাংবাদিক আমাদের এই পরিচয় দেওয়ার পরে ঐ গ্রামের লোকজন অবাক হয়ে বললেন এই প্রথম এখানে কোন সাংবাদিক ও সরকারী কর্মকর্তা এলেন। আমরা মালতী রানীর কাছে জানতে চাইলাম আপনি এর আগে কখনো কোন ভাতা পেয়েছেন, তার উত্তর ২০০৭ সালে সিডরের পরে ১৫ কেজি চাইল পেয়েছিলাম,  অন্যদিকে ঐ গ্রামের কৃষক উত্তম রায় নিরঞ্জন রায় বলেন নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা আসেন ভোট চাইতে , ভোট শেষ  হলে আর কেউ খোঁজ নেয়না।

ঐ গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানি , শিক্ষা , চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সম্মত সেনিটেশন ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পৌছাতে আরো কত সময় লাগবে তার কোন হিসাব কারো জানা নেই। এমতাবস্থায় শুধু মাত্র চেয়ারম্যান মেম্বরদের কথায় সরকারের দেওয়া সকল প্রকার ভাতা সুবিধা না দিয়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মত একটু সরেজমিনে তদন্ত করলে উজিরপুরের ৯ ইউণিয়নের প্রকৃত অসহায় মানুষগুলো ভাতার আওতায় আসবে বলে গ্রামীন জনপদের বুভুক্ষ মানুষগুলো মনে করেন।