ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন – নতুন মুখের ছড়াছড়ি

৭টি ও আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আমেজ। হাট-বাজারের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সর্বত্র নির্বাচনী আলোচনার ঝড় বইছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে সম্ভ্রাব্য চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মেম্বার প্রার্থীদের গণসংযোগ। সরকার দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুঁটছেন এতদাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর আর্শীবাদ নেয়ার জন্য। বিএনপির সমর্থন আদায়ে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের কাছে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভ্রাব্য প্রার্থীরা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হওয়ায় ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগের চেয়ে এবার বেশি ভোটারমুখী হচ্ছেন। গৌরনদী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে উভয় দলের ৩৫ জন ও আগৈলঝাড়ার ৫ টি ইউনিয়নে ২০ জন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোটারদের সমর্থন আদায়ে মাঠে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন। তবে সম্ভ্রাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর অধিকাংশরাই হচ্ছেন নতুন মুখ।

গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে গণসংযোগ করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আকন সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মতলেব হোসেন মাতুব্বর, অখিল চন্দ্র দাস, প্রণব রঞ্জন বাবু দত্ত, মোঃ নুর আলম সেরনিয়াবাত ও আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। ত্যাগী ও নির্যাতিত হিসেবে প্রণব রঞ্জন বাবু দত্ত এবং অখিল চন্দ্র দাস দীর্ঘদিন থেকে মাঠে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন। বার্থী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা প্রভাষক ফকরুল আলম মিয়া, মোঃ আবুল কালাম খান, আওয়ামীলীগ নেতা রাজু আহম্মেদ হারুন, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, মোঃ ফারুক বেপারী, মোঃ শাহজাহান প্যাদা ও যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান আনিস গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। নতুন প্রার্থী হিসেবে জনসমর্থনে যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান আনিস রয়েছেন অনেকটাই এগিয়ে। চাঁদশী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা তাইফুর রহমান কচি, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ হাক্কানি আলম, কৃষ্ণ কান্ত দে, সৈয়দ মোঃ নজরুল ইসলাম ও সৈয়দ জিয়াউর রহমান শিমুলের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে কৃষ্ণ কান্ত দে দলীয় মনোনয়ন পেলে কোন বির্তক থাকবেনা বলে জানিয়েছেন সাধারন ভোটাররা। মাহিলাড়া ইউনিয়নের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন যুবলীগ নেতা সৈকত গুহ পিকলু। ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনোয়ার সাদাত তোতা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খবির উদ্দিন সিকদারও গণসংযোগ শুরু করেছেন। তবে সৈকত গুহ পিকলু জনসমর্থনে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। বাটাজোর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এইচ.এম সামচুল হক, মোঃ আকতার হোসেন বাবুল, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রব হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোঃ মজিবর রহমান মোল্লা, পরিমল চক্রবর্তী ও সাইদুর রহমান সাঈদ মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সরিকল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মঞ্জুর হোসেন মিলন, আওয়ামীলীগ নেতা আঃ মান্নান মৃধা, মোঃ ফারুক হোসেন মোল্লা, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মঞ্জু ও ফারুক মৃধার নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এখানে ব্যক্তি ইমেজে খন্দকার শাহ আলম মঞ্জু রয়েছেন অনেকটাই এগিয়ে। নলচিড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সেকান্দার হোসেন মৃধা, আওয়ামীলীগ নেতা এইচ.এম শাহজাহান কবীর, গোলাম হাফিজ মৃধা ও খোকন মল্লিক মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

একইভাবে আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে এরমধ্যে রত্মপুর ইউনিয়নে সাংবাদিক প্রবীর বিশ্বাস ননী ও উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রেমন ভূঁইয়া, রাজিহার ইউনিয়নে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন তালুকদার, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শওকত ও সমাজসেবক আব্দুস সালাম সরদার গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তবে দলের ত্যাগী ও নিবেদিত হিসেবে ইলিয়াস হোসেন তালুকদার অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। গৈলা ইউনিয়নে সাংবাদিক সাইদুর রহমান স্বপন, সাংবাদিক শামীম খান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম সেরনিয়াবাত আজাদ, বাকাল ইউনিয়নে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম চুন্নু, বাগধা ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে রেখেছেন।