এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

নির্মান কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসির বাঁধা উপেক্ষা করে এলজিইডি বিভাগের এ সড়ক নির্মাণকাজের ঠিকাদার কাজ করায় এলাকাবাসির মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদার নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা দাবি করে প্রভাব খাটিয়ে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়েই সড়ক নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জনগুরুতপূর্ণ পয়সারহাট-আমবৌলা সড়কের ২ হাজার ৩’শ ৮১ মিটার নির্মানকাজের জন্য ২০১০ সালের নবেম্বর মাসে টেন্ডারের আহ্বান করা হয়। ওই টেন্ডারে বাগধা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের ৫ নেতা-কর্মী মের্সাস সেকেন্দার ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে কাজটি বাগিয়ে নেয়। কাজটির প্রাক্কলন ব্যয় ৪৩ লাখ ৫ হাজার ৮৬১ টাকা হলেও টেন্ডার পাওয়ার পরে ওই নেতারা ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সেকান্দার মিয়ার কাছে কাজটি বিক্রি করে দিয়েছেন। গত ২৩ ডিসেম্বর সেকান্দার মিয়া সড়ক নির্মানকাজ শুরু করেন। শুরু থেকেই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ত নির্মান কাজ করায় এলাকাবাসি একাধিকবার কাজ বন্ধের জন্য বাঁধা প্রদান করেন। এলাকাবাসির বাঁধাকে উপেক্ষা করে ঠিকাদার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার দু’পাশের দূর থেকে মাটি এনে ভরাট কাজ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার নির্মানাধীন রাস্তার বক্সার থেকে মাটি কেটে সাইড ভরাট করেছেন। স্থানীয় সোবহান হাওলাদার, ইসমাইল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, রাস্তার বক্সার কেটে মাটি ভরাট করায় বর্ষা মৌসুমে রাস্তা টিকিয়ে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পরবে। এছাড়াও নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে জনগুরুতপূর্ণ রাস্তাটির নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য একাধিকবার বাঁধা দিয়েও কোন সুফল হয়নি বলেও তারা উল্লেখ করেন। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন, এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডি অফিসের এস.ও আজাহার উদ্দিনের উপস্থিতিতেই ঠিকাদার নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ও রাস্তার বক্সার কেটে কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। এর পরেও খোঁজ নিয়ে কাজের গুনগত মান যাছাই করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।