রাশিয়া, চীন ও ভারত লিবিয়ায় হামলার তীব্র বিরোধিতা করেছে

আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছে। Libyaচীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘বেইজিং সবসময়ই সামরিক বাহিনী ব্যবহারের পক্ষে না।’ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াং ইউ বলেন, ‘চীন বিশ্বাস করে লিবিয়ার সাবভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য ও অখণ্ডতার প্রতি সব দেশের শ্রদ্ধা করা উচিৎ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বেসামরিক লোকজনদের হত্যা বন্ধে লিবিয়ায় যত দ্রুত সম্ভব স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে।’

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রোববার জানায়, ‘মস্কো এই সশস্ত্র হামলা অত্যন্ত অনুতাপের সঙ্গে লক্ষ্য করছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে এই অনুমোদন দিয়েছে।’ তাৎক্ষণিকভাবেই লিবিয়ায় রক্তপাত বন্ধের প্রস্তাব রেখে সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে মস্কো।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, লিবিয়ার জনগণের অবস্থা খারাপ হতে পারে এমন কিছুই করা উচিৎ হবে না। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লিবিয়ায় চলমান সহিংসত ও দ্বন্দ ক্রমেই খারাপ হতে থাকা মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপারে ভারত ভীষণ উদ্বিগ্ন। লিবিয়ার ওপর বিমান হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্সের নৌ ও বিমান বাহিনী লিবিয়ায় হামলা পরিচালনা করছে। এরইমধ্যে শতাধিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে দেশটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে। অনেক হতাহতের খবর এসেছে।

গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লিবিয়ার ওপর নো ফ্লাই জোন আরোপসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এতে পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্য চীন ও রাশিয়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। তবে তারা তাদের ভেটো ক্ষমতাও ব্যবহার করেননি। অস্থায়ী সদস্য ব্রাজিল, জার্মানি, ভারতও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারী লিবিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ চার দশক ধরে দেশটির ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন মুয়াম্মার গাদ্দাফী। মুয়াম্মার গাদ্দাফী ঔপনিবেশিক হামলার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার দেশকে রক্ষায় তীব্র লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তিনি তার অনুগত লোকজনের হাতে এরইমধ্যে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।