হিটলারের প্রেম!

আজো মানুষের বুকে কাঁপন ধরায়। খোদ জার্মানিতেও এডলফ হিটলার একজন চরম ঘৃণিত ব্যক্তি। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, পিশাচতুল্য এই মানুষের মনেও প্রেম ছিল। তার জীবনেও ভালোবাসা এসে ধরা দিয়েছিল। অবিশ্বাস্য ঠেকলেও ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে ঘটনা মিথ্যা নয়। চিরকুমার এ স্বৈরশাসকের অনেক রহস্যময় বিষয়ের মধ্যে অন্যতম Hitlarএকটি হলো তার ভালোবাসা। তাকে বলা হতো কিলিং মেশিন। মানুষ হত্যার মধ্যে তিনি পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। তার মতো একজন কিলিং মেশিনের জীবনেও যে প্রেম এসেছিল তা বিশ্ববাসীর কাছে প্রকাশ পেয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। কিন্তু তার কথিত প্রেমিকা, যাকে রক্ষিতা বলাই ভালো, সেই ইভা ব্রাউনের সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। কিন্তু প্রতিবারই ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে জার্মানিজুড়ে এ সাবেক লৌহমানবের ভালোবাসা নিয়ে অনেক কাটাছেঁড়া হয়। আর সেই কাটাছেঁড়া থেকেই বেরিয়ে এসেছে আজব অজানা তথ্য।

কথিত প্রেমিকা ইভা ব্রাউন ছিলেন হিটলারের চেয়ে ২৩ বছরের ছোট। কিন্তু বয়স তাদের ভালোবাসার ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। কেমন ছিল লৌহমানবের ভালোবাসা। অন্য আট-দশজনের মতোই সাধারণ? না হিটলারের ভালোবাসা ছিল গতানুগতিক ভালোবাসার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। বিশেষ করে প্রত্যক্ষদর্শীদের ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণ ও সূত্র থেকে জানা যায়, তাদের ভালোবাসা ছিল নিষ্কাম। হিটলার জীবিত থাকতেই এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। আর তা নিশ্চিত করেছেন হিটলারের বাভারিয়ান আল্পসের বাড়ির কেয়ারটেকার হারবার্ট ডোহরিং। তিনি জানান, হিটলার ও ইভা ব্রাউন পাশাপাশি রুমে অনেক রাত যাপন করেছেন। হিটলার ছিলেন রাতজাগা মানুষ। অনেক রাতে ঘুমাতেন তিনি। আবার ওঠতেনও একটু দেরিতে।

হিটলার বাড়ির বাইরে গেলে ডোহরিং বিছানা-বালিশ চাদর ইত্যাদি অনেক খুটিয়ে খুটিয়ে লক্ষ্য করেও কোনো যৌনকর্মের চিহ্ন দেখতে পাননি। অথচ সেটি না হওয়ারও কোনো কারণ ছিল না। আর তাই ডোহরিং নিশ্চিত করে বলেছেন, তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। তবে হিটলার কামনা-বাসনামুক্ত মানুষ ছিলেন না মোটেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে তিনি এক স্বর্ণকেশীর প্রেমে একেবারে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। ওই মেয়েটি দুর্ভাগ্যবশত ছিলেন বিবাহিত। কিন্তু হিটলারের নজরে পড়লে কি আর রক্ষা আছে? স্বর্ণকেশী ও তার স্বামীকে ধরে আনা হয় হিটলারের বাংকারে। ততদিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। বিয়ের আগেই স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করে হিটলারের বিকৃত কামনা চরিতার্থ হতে দেয়নি।