জাপানকে ডিঙ্গিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি হচ্ছে চীন

সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, জাপানের অর্থনীতি গত তিন মাসে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দূর্বল হয়ে পড়েছে। গত এপ্রিল থেকে জুন মাসে জাপানের মোট অভ্যন্তরীণ জাতীয় উৎপাদন ছিল মাত্র দশমিক শুন্য এক শতাংশ। এই সময়ে জার্মানী ও যুক্তরাষ্ট্রের মোট অভ্যন্তরীণ জাতীয় উৎপাদন ছিল জাপানের তুলনায় বেশী। জাপান এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ, কিন্তু গত এক দশকের বিশ্ব অর্থনীতির হালচালে এটা স্পষ্ট যে, চীন শিগগিরই জাপানের স্থানে উন্নীত হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, একবিংশ শতকের প্রথম আট বছরে জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা পাঁচ, অথচ একই সময়ে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ২৬১ ভাগ।

জাপানের অর্থনীতি মূলত রপ্তানী-নির্ভর। কিন্তু জাপানী মুদ্রা ইয়েনের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশটির রপ্তানীর পরিমাণ কমে গেছে। গেলো সপ্তায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে জাপানী ইয়েনের মূল্য ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়। জাপানী মুদ্রার মূল্যমান বৃদ্ধি ছাড়াও দেশটির আরও অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে। যেমন, বিদেশী ঋণ বা দেনার ব্যাপক বোঝার কারণে জাপানের অভ্যন্তরীণ বাজারে জিনিষ পত্রের দাম কমে গেছে। টোকিও ইয়েনের মূল্য বৃদ্ধির জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সমন্বয়ের চিন্তাভাবনা করছে। সম্প্রতি জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জাপানী অর্থনীতিকে চাঙ্গা ও সক্রিয় করার জন্য ঋণ পেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে খুব কম সুদে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার সমমূল্যের ঋণ দেবে বলে ঘোষণা করেছে।