ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুভাষ বাহিনীর ফের অপতৎপরতা

সরিকল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবু হানিফ আকন অভিযোগ করেন, সুভাষের ছোট ভাই পলাশ হালদার তাকে ও তার ছোট ভাই হারুন আকনকে একাধিকবার সুভাষের পক্ষে এলাকায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালানোর জন্য হুকুম দেয়। সন্ত্রাসীর পক্ষে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় তাকে নানাধরনের ভীতিসহ জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়।

আধুনা গ্রামের মৃত ভোলানাথ দত্তের স্ত্রী রীতা রানী দত্ত অভিযোগ করেন, অতিসম্প্রতি তিনি তার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির মধ্যে ১৪ একর সম্পত্তি বিক্রি করেন। এ খবর পেয়ে সুভাষ হালদার মোবাইল ফোনে ও তার ছোট ভাই পলাশের মাধ্যমে তার (রীতা দত্তের) কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকার জন্য সুভাষ ও তার ছোট ভাইয়ের অব্যাহত হুমকির মুখে রীতা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
আধুনা গ্রামের আওয়ামীলীগ সমর্থক মোঃ হারুন-অর রশিদ অভিযোগ করেন, সুভাষের ছোট ভাই পলাশের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাঁধা দেয়ায় গত ৩ মার্চ পলাশ হালদার বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় তার (হারুনের) বিরুদ্ধে একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্তে গেলে ছিনতাইর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে প্রমানিত হয়।
একইভাবে মোবাইল ফোনে সুভাষ হালদার ও প্রকাশ্যে তার ছোট ভাই পলাশ হালদার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাদের দলে নিতে ব্যর্থ হয়ে নানা ভয়ভীতিসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে আধুনা গ্রামের আক্তার মোল্লা, খালেক সরদারসহ অসংখ্য ব্যক্তিকে।
সরিকল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আকবর মোল্লা বলেন, “বিএনপি করছি হ্যাতে কি হইছে, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মোনে হয় মোরা মায়ের কোলে আছি। তিনি আরো বলেন, এককালে এই জনপদের মুর্তিমান আতংক ছিলো সর্বহারা নেতা সুভাষ হালদার, বাবুল সরদার, রেজাউল করিম ফকু ও হাসান সরদার। ইতোমধ্যে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে বাবুল সরদার, রেজাউল করিম ফকু ও হাসান নিহত হওয়ার পর সুভাষ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে।
সূত্রমতে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেকে সাধু সাজাতে সুভাষ তার বাহিনীর লোকজন দিয়ে নানা অপতৎপরতা শুরু করে। মাঝে মধ্যে রাতের আধাঁরে সুভাষ নিজেই এলাকায় এসে তার লোকজনদের কথামতো কাজ করার জন্য নিরিহ লোকজনদের নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
এ ব্যাপ্যারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে সুভাষ হালদার নিজএলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য প্রসাশনের কঠোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।