বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল বরিশাল

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে প্রায়ই কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান মালিকদের দাবী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। বরিশাল বিদ্যুত বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম মোতাহার হোসেন ঢাকা জানান, চাহিদার তুলনায় নগরীর শিল্প কারখানা গুলোতে পর্যাপ্ত বিদ্যুত সরবরাহ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তারা অনেকটা অসহায় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। জানা গেছে, বরিশাল নগরীতে প্রতিদিন অফ পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ৪৬ থেকে ৪৮ মেগাওয়াট। কিন্তু প্রতিদিন অফ পিক আওয়ারে ২২ মেগাওয়াট এবং পিক আওয়ারে ৬৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াটের বিপরীতে মাত্র ২৬/৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। মুলত নগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। এর মধ্যে যেটুকু সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় তার মধ্যেও থাকে লো-ভোল্টেজ। সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নগরীর ভারি শিল্প কারখানা যেমন খান সন্স, অপসোনিন গ্র“প অব ইন্ডাষ্ট্রিজ, বেঙ্গল বিস্কুট লিঃ, ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, কেমিষ্ট ল্যাবরেটরিজ লিঃ, কারিকর বিড়ি ফ্যাক্টরী, অমৃত অয়েল এন্ড ফুড প্রোডাক্টস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলস্, অলিম্পিক সিমেন্ট ফ্যাক্টরী বিদ্যুতের অভাবে অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকছে। এছাড়াও ময়দার মিল, বরফ কল, স্ব-মিল, বিস্কুট ফ্যাক্টরি অনেক সময় থাকছে বন্ধ। নগরীর ক্ষুদ্র শিল্প পাদুকা শিল্পের অবস্থা বেহাল। হাসপাতাল রোডের পাদুকা শিল্পও চলছে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে। সেখানে এক বছর পূর্বে ৩১টি পাদুকা কারখানা ছিল। বর্তমানে সংখ্যা দাড়িয়েছে ২২টি। সদর হাসপাতাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান জানান, লোডশেডিংয়ের কারনে এসব জুতার কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বরিশাল জেলা পাদুকা সমবায় সমিতির সভাপতি সামসুল আলম মুকুল বলেন দিনের মধ্যে এত বার লোডশেডিং দিলে কোন শিল্পই টিকে থাকতে পারে না।