আগৈলঝাড়ার আদমশুমারী গণনাকারীদের দু’লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ভাতার প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিরব ভূমিকা পালন করছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, আদম শুমারী গণনার জন্য আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে   গত ১৪ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত কার্যক্রম চলে। এরপূর্বে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের তত্বাবধানে রাজিহার ইউনিয়নে গণনাকারী হিসেবে ৫৮ জন, সুপারভাইজার ৮ জন। বাকাল ইউনিয়নে গণনাকারী ৫৫ জন, সুপারভাইজার ৭ জন। বাগধা ইউনিয়নে গণনাকারী ৬২ জন, সুপারভাইজার ৯ জন। গৈলা ইউনিয়নে গণনাকারী ৬২ জন, সুপারভাইজার ৯ জন। রতœপুর ইউনিয়নে গণনাকারী ৫৫ জন, সুপারভাইজার ৮ জনকে সাময়িক জনবল নিয়োগ করা হয়। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের মাধ্যমে উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ২৯২ জন গণনাকারী ও ৪১ জন সুপারভাইজারদের তিনদিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা  হয়। তিনদিনের প্রশিক্ষণ ভাতা হিসেবে প্রতি প্রশিক্ষণার্থীর জন্য সরকার ৬’শ টাকা বরাদ্দ দেয়। রাজিহার ইউনিয়নে তিনদিনেরস্থলে দু’দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কোন ইউনিয়নেই পরিসংখ্যান সহকারী কর্মকর্তারা গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের ভাতার টাকা প্রদান করেননি। রাজিহার ও গৈলা ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন। বাকাল ও বাগধা ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন অক্ষয় কুমার বিশ্বাস, রতœপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন অনিল কুমার। অভিযোগে আরো জানা গেছে, জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্যান্য পরিসংখ্যান সহকারী কর্মকর্তারা ৩৩৩ জন প্রশিক্ষনার্থীর তিনদিনের ৬’শ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা হিসেবে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮শত টাকা প্রশিক্ষনার্থীদের না দিয়ে আত্মসাত করেছে। গণনাকারী ও সুপারভাইজাররা পাশ্ববর্তী গৌরনদীসহ অন্যান্য উপজেলায় প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়ার কথা শুনে গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর বিশ্বাস বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।