দেশে প্রতি বছর যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে ৬৫ হাজার লোক মারা যায়

৬৫ হাজারেরও বেশি মৃত্যুবরন করে। আজ যক্ষাদিবস উপলক্ষে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান হয়। ডেপুটি সিভিল সার্জন আঃ সাত্তার মিয়ার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক ডা. সৈয়দ খায়রুল আনাম, বক্ষèব্যাধি ক্লিনিক কনসালটেন্ট ডা. মোকলেছুর রহমান, প্রেস ক্লাব সাধারন সম্পাদক লিটন বাশার। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান হয় যে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যায় ১০০ জনের কফে জীবানু আছে। দেশে ২০১০ সালে কাশিতে জীবানুযুক্ত নতুন যক্ষা রোগী চিহ্নিত করণের হার শতকরা ৭০ ভাগ। যার চিকিৎসা সামলালে অর্জনের হার ৯২ ভাগ। যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সঠিক সময়ে কফ পরিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা একান্ত জরুরী। ২০১৫ সালের মধ্যে যক্ষা রোগীর সংখ্যা এবং যক্ষার কারণে মৃত্যু অর্ধেক কমিয়ে আনা দিবসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বর্তমানে ১০৫০টি ল্যাব ও ৮০০টি ডট্স সেন্টারে যক্ষা নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম চলছে।

উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালে ব্র্যাক ১টি উপজেলায় সমাজ ভিত্তিক যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী শুরু করে। বর্তমানে ৪২ জেলার ২৯৫ উপজেলায়, ৩৭টি জেলা সহরে, ৫টি বিভাগীয় জেলা সহরের অংশ বিশেষ, ২৪টি মেডিকেল ইনস্টিটিউশন এবং চট্রগ্রাম ইপিজেড, চট্রগ্রাম ও খুলনা সহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা এলাকায় কার্যক্রম চলছে। এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগ, ব্র্যাক ও বরিশাল প্রেস ক্লাব যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আজ সকাল ১০টায় অশ্বিনী কুমার টাইন হল চত্বর থেকে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালী উদ্বোধন করেন বিসিসি মেয়র এ্যাড. শওকত হোসেন হিরন। র‌্যালী শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।