টিসিবি’র চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ বরিশালের ডিলাররা

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বরিশালে টিসিবি’র কার্যক্রম ধরে রাখতে অবশেষে বরিশালে আসেন টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার জাহান তালুকদার। গত ১৮ মার্চ বরিশাল জেলা প্রশাসকের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ডিলারদের দাবীর মুখে মশুরী ডালের বরাদ্ধ ১ হাজার কেজি কমিয়ে ও সয়াবিন তৈলের বরাদ্ধ ৫শ লিটার বাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারম্যান। তাতেও টিসিবি’র ডিলারদের মাঝে সাড়া জাগেনি। ফলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি’র কর্মকর্তারা। ফলে বরিশালে এ কার্যক্রম ব্যর্থ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

সূত্র মতে, গত ২৭ ফেব্র“য়ারী থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠির চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ বারের মত টিসিবি’র ন্যায্য মূল্যের পন্য বিক্রির কার্যক্রম হাতে নেয় সরকার। প্রত্যেক ডিলারের বরাদ্ধ পত্রে ১৫শ কেজি ডাল ৭৫ টাকা ও বিক্রয় মূল্য ৭৭ টাকা, ৫শ কেজি সয়াবিন তৈল ৯৭ টাকা বিক্রি মূল্য ১শ টাকা ও ৫ কেজি চিনি ৪৭ টাকা ও বিক্রয় মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারন করা হয়। কিন্তু বাজার মূল্যের চেয়ে মুসুরী ডালের দাম বেশী হওয়ায় প্রাথমিক অবস্থায় পন্য তোলা থেকে বিরত থাকে। ডালের বরাদ্ধ কমানোর জন্য ডিলাররা লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু ডিলারদের দাবীর মুখে টিসিবি’র বেধে দেওয়া সময় ১৫ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত রাখে। ফলে বরিশালে টিসিবি’র কাযক্রম ব্যর্থ হওয়ার আশংকা দেখা দেয়। পরে এ কার্যক্রম ধরে রাখতে পন্য তোলার সময় বাড়িয়ে ২৪ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়। তাতেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। বরিশালের ডিলাররা তাদের লাভের কথা চিন্তা করে পন্য তোলা থেকে বিরত থাকে।

এ ব্যাপারে বরিশালের টিসিবি’র অফিস প্রধান মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বরিশালে টিসিবি’র কার্যক্রম ব্যর্থ হওয়ার আশংকা দেখা দেয়ায় শুধু মাত্র বরিশাল বিভাগের জন্য সয়াবিন তৈলের বরাদ্ধ ৫শ কেজি থেকে ১ হাজার কেজি করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি আরো বলেন, পরপর ২ বার যদি কোন ডিলার পন্য না তোলে তবে জামানত সহ তার ডিলার শিপ নিয়ম অনুযায়ী বাতিল হয়ে যায়।