বরিশালে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে ৫৪টি মামলা দায়ের

নগরীর বিভিন্ন স্থানে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়ে  ৫৪ টি মামলা দায়েরসহ ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায়  করেছে । 

এ অভিযানের পরও পরিবেশ দূষণ সৃষ্টিকারী  এ যানবাহনের সংখ্যা কমছে না বরং বেড়েই চলছে। ফলে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বরিশাল লক্কর ঝক্কর মার্কা, কালো ধোয়া সৃষ্টিকারী ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী গাড়ীর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এর ফলে বায়ু দূষন সহ পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। এ পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে বিভাগের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের উপর পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালায়্ এ অভিযানকালে তাদের ২টি এনফোর্সমেন্ট সংঘর্ষে সম্মুখীন হতে হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র মতে, গত বছরের মে মাসের রূপাতলী বাস স্ট্যান্ডের যানবাহনের উপর অভিযান চালিয়ে ১৩টি মামলাসহ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জুন মাসে যানবহনের উপর অভিযান চালিয়ে ১৪টি মামলাসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জুলাই মাসের অভিযানে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। আগষ্ট মাসে বিভিন্ন যানবাহনের উপর অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানাসহ ৯টি মামলা দায়ের করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে রূপাতলী বাস স্ট্যান্ডের যানবাহনের উপর অভিযান চালিয়ে ২টি মামলাসহ ১ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।  চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে নথুল্লাবাদে লক্কর ঝক্কর মার্কা, কালো ধোঁয়া সৃষ্টিকারী ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী যানবাহনের উপর অভিযান চালিয়ে ১২টি মামলাসহ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই অভিযানে পুলিশ ও যানবাহন শ্রমিকদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছিল। পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান করে মামলা দায়েরসহ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করলেও যানবাহন মালিকদের অসচেতনতার কারণে লক্কর ঝক্কর মার্কা, কালো ধোঁয়া সৃষ্টিকারী ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী গাড়ির সংখ্যা কমছে না বরং বাড়ছে। ফলে বায়ু দূষণসহ পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জানান, আমরা এই অভিযান অব্যাহত রাখবো। বায়ু দূষণসহ পরিবেশ দূষন সৃষ্টিকারী যানবাহনের উপর শীঘ্রই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।