ইউনিয়ন নির্বাচন : খাঞ্জাপুর ও বার্থী

মাঠে চেয়ারম্যান, মেম্বর, প্রার্থীদের কোন প্রকার মিছিল মিটিং কিংবা শো-ডাউন লক্ষ করা যাচ্ছেনা।

ফলে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ১ নং খাঞ্জাপুর ও ২ নং বার্থী ইউনিয়নের ভোটের মাঠের হিসেব মেলাতে পারছেনা কেউ-ই। তার পরও ধারনা করা হচ্ছে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়াই হবে ত্রিমূখি। আর বার্থী ইউনিয়নের ভোটের লড়াইয়ে ৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই আছেন শক্ত অবস্থানে।

ওই দুই ইউনিয়নে শেষ পর্যন্ত কার কার ভাগ্যে জোটে বিজয়ের মালা তা দেখতে হলে সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৯ মার্চ ভোটের ফলাফল ঘোষনা পর্যন্ত। ইউনিয়ন দুটির চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কেউই তাদের বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে না পারলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় কে কত বেশি এগিয়ে থাকতে পারেন প্রার্থীদের মধ্যে চলছে তার প্রতিযোগীতা।

গত পরশু বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়ন দুটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ১ নং খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে অখিল চন্দ্র দাস ও বিল্টু রঞ্জন সাহা নামে ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় এখন নির্বাচনী মাঠে প্রার্থী রয়েছেন মোট ৭ জন। এদের মধ্যে নতুন প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারনায় সবচাইতে বেশী মাঠ সরগরম করে রেখেছেন দেয়াল ঘড়ি মার্কা নিয়ে ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রণব রঞ্জন বাবু দত্ত ও তালা মার্কা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মতলেব হোসেন মাতুব্বর, কাপ পিরিচ মার্কা নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ লুৎফর রহমান মো্লা। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আরেক নেতা নতুন প্রার্থী আশ্রাফ আলী সরদার জাহাজ মার্কা পেলেও তাকে ভোটের মাঠে পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক ভোটার ও প্রার্থী জানিয়েছেন, আশ্রাফ নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাড়িয়েছেন। পুরানো প্রার্থীদের মধ্যে গরুর গাড়ি মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকন সিদ্দিকুর রহমান। দোয়াত কলম মার্কা নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার এবং আনারস মার্কা নিয়ে আরেক জন সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা নুর আলম সেরনিয়াবাত। নতুন প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের প্রচার, প্রচারনাও চলছে বেশ জোরে শোরে। এলাকার ভোটার ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সাথে আলাপে জানাগেছে, নির্বাচনী প্রচার, প্রচারনার পাশাপাশি ওখানকার ভোটার আকৃষ্ট করার প্রতিযোগীতায় সবচাইতে বেশী এগিয়ে রয়েছেন নতুন প্রার্থী প্রণব রঞ্জন বাবু দত্ত, বর্তমান চেয়ারম্যান আকন সিদ্দিকুর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। মাঠে প্রার্থী ৭ জন থাকলেও ভোটের হিসেবে ওখানে লড়াই হবে মূলত ত্রিমূখি। আর এ ত্রিমূখি লড়াইটি হবে প্রণব রঞ্জন বাবু দত্ত, আকন সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের মধ্যে।

২নং বার্থী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৮ জন। এদের মধ্যে নতুন প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারনায় মাঠ সরগরম করে রেখেছেন দোয়াত কলম মার্কা নিয়ে যুবলীগ নেতা আনিচুর রহমান আনিচ, চশমা মার্কা নিয়ে আমিনুল ইসলাম শাহীন, জাহাজ মার্কা নিয়ে জহিরুল ইসলাম সোহাগ মোল¬া। পুরানো প্রার্থীদের মধ্যে কাপ পিরিচ মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোঃ ফকরুল আলম মিয়া। দেয়াল ঘড়ি মার্কা নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার । গরুর গাড়ি মার্কা নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ নেতা রাজু আহাম্মেদ হারুন হাওলাদার। আনারস মার্কা নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহান প্যাদা। তালা মার্কা নিয়ে বিএনপি নেতা আবুল কালাম খান। ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেয়া ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই আছেন শক্ত অবস্থানে। ইউনিয়নের ভোটের মাঠে ৮ জন প্রার্থী থাকলেও ওখানকার ভোটার ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের হিসেব মতে, ওখানে লড়াই হবে ৫ প্রার্থীর মধ্যে এবং ৫ জনই থাকবেন প্রায় সমানে সমান। অল্প কিছু ভোটের ব্যাবধানে ওখানে জয় পরাজয় নির্ধারিত হবে। ওখানে লড়াইটি হবে মূলত আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, রাজু আহাম্মেদ হারুন হাওলাদার, শাহজাহান প্যাদা, মোঃ ফকরুল আলম মিয়া ও আবুল কালাম খানের মধ্যে।