১৪৪ধারা আমি ভয় পাই না -শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় শ্রীনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আওয়ামী গুন্ডা বাহিনী পুলিশের সহযোগীতায় সভা মঞ্চ ও গেইট ভাঙচুর ও ১৯মার্চ অনুমতি নেয়া সভাস্থলে আওয়ামীলীগ কর্তৃক একই স্থানে সভা ডেকে প্রশাসন কর্তৃক ১৪৪ধারা জারীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন- গনতন্ত্রের ধ্বজাধারী, স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের নূন্যতম অবদান নেই সে সকল নব্য আওয়ামী নেতৃত্বের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় দেশ গড়ে স্বাধীনতার সূফল ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার নমুনা যদি এই হয় তাহলে এদেশে গনতন্ত্র ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনস্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ হতে বাধ্য। বিবৃতিতে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন- স্বাধীন দেশে আজ খুন, ধর্ষন, ডাকাতি, নারী নির্যাতন, রাহাজানি, অপহরন, জমি দখল, টেন্ডারবাজী ও দ্রব্যমূল্য অসহনীয় উর্দ্ধগতি চরম আকারে ধারন করেছে তা কোন স্বাধীনতার সূফল?

মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সরকারী দলের এমপিদের জাতীয় সংসদে কটুক্তি ও শহীদ জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে আদালতকে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন- শহীদ জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে বসে থাকেননি, অস্ত্র হাতে যুদ্ধও করেছেন, বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন, সংবিধানে বিসমিল্লাহ যুক্ত করেছেন, তাকে নিয়ে কোনো কটুক্তি করে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস ও একদলীয় শাসন কায়েম করা যাবে না।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন- ৫২’র ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ধারা ভাঙ্গার মাধ্যমে আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯গন অভ্যুথ্যান সহ মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবন বাজী রেখে সংগ্রাম করে যে স্বাধীনতা এনেছি সেই স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার আলোচনা সভায় আওয়ামী পুলিশের নগ্ন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আওয়ামী পান্ডাদের সহযোগীতায় সভামঞ্চ, গেইট ভাংচুর, প্রশাসন কর্তৃক ১৪৪ধারা জারী করে আমায় ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না।

তিনি সরকার ও স্থানীয় তথাকথিত প্রতিনিধি ও কতিপয় দুস্কৃতিকারীর প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন- ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে গনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, অন্যথায় এদেশের জনগন আপনাদের ক্ষমা করবে না।