বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অবরুদ্ধ

উপর শনিবার দুপুরে অর্তকিত হামলা  চালিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। একই সঙ্গে হামলার শিকার আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী একে এম মাহফুজুল আলম লিটনকে দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে দু’গ্র“পের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে এ ঘটনায় রোববার বিকেলে আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম মাহফুজুল আলম লিটন বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

জানা গেছে, আন্ধারমানিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হলেন আবদুর রহমান। তিনি তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করে আসছেন।প্রত্যহ শ,শ ক্যাডার নিয়ে এলাকায় শোডাউন করছেন।শুক্রবার তার সমর্থিত কয়েক শ লোক নিয়ে গোটা ইউনিয়নে মহড়া দেন। এতে এলাকার সাধারন নারী-পুরুষদের মাঝে আতংক নেমে আসে।অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহমান নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে রাজধানী ঢাকা থেকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনেছেন। তারা এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকী ধামকী দিচ্ছেন। এরইধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে আবদুর রহমান অর্ধশত সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় প্রচারনায় নামেন। একই ইউনিয়নের একেএম মাহফুজুল আলম লিটন তার কয়েক সমর্থক নিয়ে প্রচারনায় বের হন। স্থানীয় মিয়ার হাট বাজারে লিটন ভোট প্রার্থনা করছিল। ওই সময়ে রহমান সন্ত্রাসী নিয়ে অতর্কিকভাবে লিটন ও তার সমর্থকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের হামলায় আহত হন  শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস,মজিবর রহমান মোল্লা, কামাল মোল্লা। পাশাপাশি চেয়ারম্যান প্রার্থী লিটনকে দীর্ঘ সময়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে লিটন সমর্থিত রহমানের ক্যাডারদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উভয় গ্র“প সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। কাজীর হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে লিটনকে মুক্ত করে। এদিকে আওয়ামী চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম মাহফুজুল আলম লিটন বলেন আবদুর রহমান নির্বাচনী আচরন বিধি মানছে না। সে সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় প্রচারনা চালাচ্ছে। রহমানের বাহিনী দিনে দুপুরে তার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে। রিটার্নিং অফিসার মজিবর রহমান বলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে আচরন বিধি লংঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া মিয়ার হাট বাজারে অপ্রতিকর ঘটনার বিষটিও তিনি জেনেছেন বলে মন্তব্য করেন।

কাজীর হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শুক্রবার এলাকায় শোডাউন করে আচরন বিধি লংঘন করেছেন। এছাড়া আজ উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রহমান বলেন আমার সমর্থকরা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর উপর হামলা চালায় নি। বরংচ আমার সমর্থকদের উপর লিটন সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। তাদের বর্বরোচিত হামলায় কয়েক জন গুরুতর আহতও হয়েছে। আহতরা হলেন হাবিবুর রহমান,শাহ আলম ও ফেরদাউস।এরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।