শাবি প্রবিতে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ও জাতীয় দিবস পালিত হয়। শনিবার সকাল ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. নারায়ন সাহা, লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. ইয়াসমীন হক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার দাস ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলির পর পর্যায়ক্রমে শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, হল প্রশাসন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এর আগে ভোর ৬টায় উপাচার্য জাতীয় পতাকা এবং কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় মিনি অডিটরিয়ামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উদযাাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. নারায়ন সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিন উপস্থাপিত প্রবন্ধের প্রশংসা করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিটি আজ সর্বস্তরের। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি মোটেও সন্তোষজনক নয়। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় আরও মনোযোগী ও সময়ানুবর্তী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের স্থায়ী ভাস্কর্য নির্মাণে প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক, তবে কিছুটা বিলম্ব হবে। আয়োজন সম্পন্ন হলে অবশ্যই স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ হবে।  “স্বাধীনতার ৪০ বছর : গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার” শীর্ষক প্রফেসর ড. নাজিয়া চৌধুরীর উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর প্যানেল আলোচক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার দাস বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল এই বিচারে ব্যর্থ হলে জনগণ তাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে; দ্বিতীয়বার আর সুযোগ দেবে না । আমরা এক অনিশ্চিত অন্ধকারে হারিয়ে যাব। তবে শতবছর পরে হলেও এই বিচার সম্পন্ন হবেই । অন্য প্যানেল আলোচক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন বাংলাদেশের স^াধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ সমাজতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রশ্ন রাখেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আমরা আদৌ প্রস্তুত কিনা। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্বাধীনতা বিরোধীদের অস্তিত্ব বজায় থাকা অবস্থায় এই বিচার সম্ভব কিনা তাও সন্দেহ পোষণ করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধাদের বৈষয়িক কোন চাহিদা নেই। তাদের দাবি একটাই-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা। এ বিচার যত দেরিতে হবে ইভিড্যান্স তত নষ্ট হয়ে যাবে।

সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. তুলসী কুমার দাস এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. ইয়াসমীন হক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল হাসান মজুমদার, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, অফিসার্স এসোসিয়শনের সভাপতি আ ন ম জয়নাল আবেদীন, সহায়ক কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধা মো. জসিম উদ্দিন সরদার, সাধারণ কর্মচারী সমিতির সভাপতি মনিলাল দাস এবং বিভাগের ছাত্র মোঃ আতিকুর রহমান প্রমুখ। আলোচকবৃন্দ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনে ঢাকা পর্যন্ত পদযাত্রার প্রস্তাব উত্থানপন করা হয়। এছাড়াও  ক্যাম্পাসে কার্টুন ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ভিসি মহোদয়।বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।