ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি ?

পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের ২৪ ঘন্টা বাকী থাকলেও নির্বাচনী ব্যায় বরাদ্দ উপজেলায় এসে না পৌছানোয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শংকার মধ্যে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা তাদের কাজ সম্পন্ন  করলেও প্রশাসন রয়েছে অগোছালো। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারী বক্তব্য অনুযায়ী সব কিছুই চলছে ঠিকঠাক ভাবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, কোন কিছুই ঠিক নেই। সব কাজ কর্মই অগোছালো। এক কথায় ডিজিটাল ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপ সমন্বয়হীন ভাবে শুরু হয়েছে বলে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রশাসনিকভাবে কার কি দায়িত্ব নির্বাচনী বিধিমালায় তা চুড়ান্ত করা হয়নি। ফলে সমন্বয়হীনতার সুষ্পষ্ট দিকটি ফুটে উঠেছে। এমনকি গতকাল রোববার পর্যন্ত নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকারী কোন বরাদ্দ উপজেলায় এসে পৌঁছায়নি। ফলে প্রিজাইডিং অফিসারদের কিভাবে ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য পাঠাবেন তা নিয়ে রীতিমত হিমসীম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা। নির্বাচনী ব্যায় বরাদ্দ না আসায় নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ৯৫৪ জন প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও তাদের প্রশিক্ষণভাতা দিতে পারেনি বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন। সকল প্রার্থীর পক্ষেই নির্বাচন আচরণবিধি লংঘন হলেও  প্রশাসনিক কাজে ২০ মার্চ নিয়োগকৃত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইউনুস খান গতকাল রোববার বিকাল পর্যন্ত কর্মস্থল আগৈলঝাড়ায় যোগদান করেননি। প্রশাসনিক দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর বিশ্বাস কতটুকু পালন করতে পারবেন তা তিনি নিজেও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না। তবে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ৩শ অতিরিক্ত পুলিশ, ৭শ আনসার ও ২৭ সদস্যর র‌্যাবের একটি দল নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত থাকবে। এছাড়াও প্রত্যেক ইউনিয়নে পুলিশের একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। উপজেলায় ২টি রিজার্ভ ফোর্স রাখা হবে। এছাড়াও ফোর্স সহ একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আইন শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এরমধ্যে র‌্যাবের ৯ সদস্যের একটি চৌকস দল উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৪৫টি কেন্দ্রকে ৩ ভাগে ভাগ করে প্রতিটি মোবাইল টিম ১৫টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করবেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সমন্বয়হীনতার প্রশ্নে বলেন, আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদস্য সচিব তিনি নিজে। তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান পর্যবেক্ষণ সহ আইন শঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব রয়েছে। তার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করবেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গতকাল পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগদান করেননি এবং নির্বাচনী ব্যয় বরাদ্দও তিনি হাতে পাননি স্বীকার করে বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারদের কেন্দ্রে পাঠানোর পূর্বেই বরাদ্দ হাতে পাওয়া যাবে।