মুঠোফোনের প্রেমে কলেজ ছাত্রী, বিয়ে অতঃপর …….

মুনমুন আক্তার(১৯) বিয়ে পাগল ও যৌতুকলোভী এক প্রতারকের মুঠোফোনের প্রেমে পড়ে বিয়ে  করে এখন প্রড়েছে বিপাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর কালকিনি এলাকার পুয়ালী গ্রামের এম কে আল আমিনের মেয়ে শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজের শিক্ষার্থী মুনমুন আক্তারের সরলতার সুযোগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২০১০সালের ১০আগষ্ট বিয়ে করে পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মিজান। বিয়ের পরই যৌতুক হিসেবে এক লক্ষ টাকা দাবী করে মিজান। হতদরিদ্র পরিবারটি যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় মুনমুনের উপর চালায় পাশবিক নির্যাতন। হাত-পা বেঁধে মাথা নিচু করে ঘরের আড়ার সাথে টানিয়ে রেখে লোহা গরম করে ছ্যাকা দিত যৌতুকলোভী মিজানুর। এ নির্যাতন সঁইতে না পেরে মনুমুন পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে এবং গত তিন মাস যাবৎ বাবার বাড়িই অবস্থান করছে। এ ঘটনায় মামলা করলে মুনমুনকে আসামীরা ০১৭১৮১৪৩১১০ মোবাইল নম্বর দিয়ে খুন করার হুমকি দিচ্ছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে মুনমুনের পরিবার। এদিকে মিজান মুনমুনকে বিয়ে করার পূর্বেও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার রানী নামের এক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদ ফেলে বিয়ে করে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে রানীকে তালাক দেয় মিজান। এরপর  মিজানুর ৩য়বার বিয়ে করে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বড়াইকান্দি গ্রামের সুখি নামের একটি মেয়েকে। একেই কায়দায় বিয়ে করে যৌতুক না পেয়ে নির্যাতন চালায়। এরপরেও থেমে নেই মিজান। ৪র্থ বার বিয়ের জন্য পায়তারা করছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ২য় স্ত্রী মুনমুন জানায়, ‘মিজানুর বিভিন্ন জেলায় গিয়ে অভিনব কায়দায় বিয়ে করে যৌতুক নেওয়াই  মিজানের পেশা। টাকা না দিলে নির্যাতন সইতে হয়। তা না হলে বাড়ি ছাড়তে হয়’। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘বিয়ে করেছি ঠিক আছে কিন্তু কোন যৌতুক চাইনি। ব্যাপারটা শ্রীগ্রই মীমাংশা হবে’।