উজিরপুরে ইউপি নির্বাচনে গোলাগুলি

নির্বাচন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোলাগুলিতে ২ জন আহত, ২ জন গ্রেপ্তার, বেলট বাক্স ছিনতাই কালে ২ পক্ষের মধ্যে কোপাকুপি, ভোটারদের  পথে পথে বাধা প্রদান, প্রার্থী ও নির্বাচন সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের জিম্মি ,করে জাল ভোট প্রদান সহ ব্যপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে শোলক ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিন ধামুরা কেন্দ্রে বিকাল সোয়া চারটায় ভোট গণনার পূর্বে মেম্বর প্রার্থী আবু বকর সরদার পরাজয় হবে ভেবে বেলট বাক্স ছিনতাই করার সময় ওই ওয়ার্ডে অপর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ফারুক হোসেন এর ভাই রিয়াজুল ইসলাম বাধা দিলে ফারুক ও তার লোকজন ধারালো রামদা দিয়ে রিয়াজুল(৩৫), তার ভাই খোকন মোল¬া(২৫), রফিক (৩০) কে কুপিয়ে আহত করে। এসময় পাল্টা হামলায়  আবু বকর (৪০ ও  আহত হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গুলি ছুড়লে গুলিতে সেকেন্দার (৫০) এর পিঠে, কাওসার হাওলাদার(১২) পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়। গুলি বিদ্ধ ২ জনকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুলি বিদ্ধ সেকেন্দার হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনার স্থল থেকে মেম্বর প্রার্থী ফারুক হোসেন সহ ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে ও বেলট বাক্স উদ্ধার করে।

এদিকে বড়াকোঠ ইউনিয়নের নরসিংহা ভোট কেন্দ্রে আ’লীগের সমর্থীত প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম জামাল হোসেনের পুত্র জাহিদ হাসান দোলন (২৮) কে আ’লীগের বিদ্রহী প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামন পনির মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। ওই ইউনিয়নের দক্ষিন বড়াকোঠার রেজি:প্রা:বিদ্যা: জাল ভোট প্রদান কালে হাসিনা বেগম (৪০) ও শফিকুল (৩০) গ্রেফতার হয়। ভোট গ্রহনের শেষে তাদের কে ছেড়ে দেয়া হয়। ওটরা ইউনিয়নে হাবিবপুর কেন্দ্রে আ’লীগের নেতা হাফিজুর রহমান ইকবাল তার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। সাতলা ইউনিয়নের পটিবাড়ি কেন্দ্রে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: খালেক আজাদ তার অপর প্রতিদ্বন্দি পরিমল বাইনের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে পথে পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। ওই ইউনিয়নে আলমদি কেন্দ্রের ভোট গণনার পর প্রিজাইডিং অফিসার সহ পরিমল বাইনের এজেন্টদের চেয়ারম্যান প্রাথী হিরু হাওলাদারের সমর্থকরা জিম্মি করে রাখে পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।